সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইনশৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। র্যাব-১১ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাং এর দুষ্কৃতমূলক কর্মকান্ড দমনের লক্ষ্যে অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (৪ আগস্ট)রাত ২টা ২৫ মিনিটে র্যাব-১১ এর আভিযানিক দল নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন আবেদআলী সুপার মার্কেট নতুন বাজারএলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে১জন ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক ৬ জনসহ সর্বমোট ৭ জন কিশোর গ্যাং এর সক্রিয় সদস্যদের দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাতির প্রস্ততির সময়ে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের হেফাজত হতে দেশীয় অস্ত্র (১টি চাপাতি,১টি বড় সুইচ গিয়ার চাকু,৩টি ছোড়া এবং ২টি স্টিলের পাইপ) উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, আটককৃত কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা নিয়মিত নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় সন্ত্রাসী, ডাকাতি ও ছিনতাই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তারা প্রত্যেকে কিশোর গ্যাং এর সক্রিয় সদস্য। বেশ কিছুদিন যাবৎ তারা পরিকল্পিতভাবে রাস্তা-ঘাটে দলবদ্ধ হয়ে সংঘাত সৃষ্টি ও জনগণের মনে ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল।
৫ মাদকব্যবসায়ী গ্রেফতার
র্যাব-২ এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, রাজধানী ঢাকার শাহবাগ থানা এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের ভিতরে বিপুল পরিমাণ দেশী-বিদেশী মদ ও বিয়ার অবৈধভাবে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মজুদ করা রয়েছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-২ এরআভিযানিক দল গত বুধবার (৪ আগস্ট)১০টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর শাহবাগ থানাধীন একটি নির্মাণাধীন ভবনে অভিযান পরিচালনা করে মোঃ শাহিন মিয়া(৩২), মোঃ কাওসার(৩৬), মোঃ জিতু মিয়া(৫৫), মোঃ জালাল খান(৩৬), মোঃ নয়ন মিয়া (২০) দেরকে ৬৭৪ ক্যান বিয়ার, ৭৪৮ বোতল বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দেশী-বিদেশী মদ ও মাদক বিক্রির ১ লাখ ৮৮ হাজার টাকাসহ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা পরষ্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে অভিনব পন্থায় নিত্য নতুন কৌশল ব্যবহার করে অবৈধভাবে দেশী-বিদেশী মদ ও বিয়ার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবহন ও সরবরাহ করে আসছিল। এছাড়াও ধৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা যাচাই বাছাই করে ভবিষ্যতে র্যাব-২ এ ধরনের মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখবে।উপরোক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।