Logo

২৪ দিন পর অজ্ঞাত লাশ শনাক্ত স্বামীসহ গ্রেফতার ৫, হত্যার দায় স্বীকার করেছে স্বামী

২৪ দিন পর অজ্ঞাত লাশ শনাক্ত স্বামীসহ গ্রেফতার ৫, হত্যার দায় স্বীকার করেছে স্বামী

বন্দর সংবাদদাতা:
বন্দরে লাশ উদ্ধারের ২৪ দিন পর অজ্ঞাত লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। সে সাথে উদঘাটিত হয়েছে হত্যাকান্ডের মূল রহস্য। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহত মিতুর স্বামী রুহুল আমিন ওরফে রবিনসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে সোমবার আদালতে প্রেরণ করা হলে স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন স্বামী রবিন। গত ১৬ জুলাই বন্দরের নবীগঞ্জ আকিজ সিমেন্টের ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন ডোবা থেকে অজ্ঞাত হিসেবে মিতুর অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মিতু মুন্সীগঞ্জের টুঙ্গিবাড়ি থানার নয়াগাও এলাকার সিরাজুল ইসলাম হাওলাদারের মেয়ে। লাশ উদ্ধারের ২৩ দিন পর গত রোববার রাতে বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকা থেকে রুহুল আমিন ওরফে রবিনসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত রুহুল আমিন ওরফে রবিন বন্দরের ১৯৪ জিএ রোড নবীগঞ্জ এলাকার ইউসুফ মিয়ার ছেলে । বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, রবিন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। রবিন আদালতকে জানায়, গত ১২ জুলাই ভাড়াটে খুনিদের সহায়তায় মিতুকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর ড্রামে ভরে লাশ গুমের চেষ্টা করে। কিন্তু বহন করার সময় ড্রামটি ভেঙ্গে যায়। পরে লাশটি কম্বল দিয়ে পেঁচিয়ে ভ্যানগাড়িতে করে আকিজ সিমেন্টের ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন ডোবায় ফেলে দেন। ওসি জানান, গত ১৬ জুলাই নবীগঞ্জ আকিজ সিমেন্টের ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন ডোবা থেকে অজ্ঞাত হিসেবে কম্বলে মোড়ানো এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধারের আগের দিন মিতুর বাবা সিরাজুল ইসলাম সাধারণ ডায়েরি করেন। মিতুর লাশটি গলে যাওয়ায় তখন শনাক্ত করতে পারেননি তার বাবা। পরে ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। এরপর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মিতুর স্বামী রবিনসহ ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়। বাকি আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com