নিজস্ব সংবাদদাতা:
জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেছেন, জেলাবাসীর কাছে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। এ লক্ষে জেলা প্রশাসন অনেক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। শনিবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে নগরীর চাষাঢ়া এলাকায় এনইউজে’র কার্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আরোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। আলোচনা সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও আদর্শ তুলে ধরে স্মৃতিচারণ করেন। বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামেরই নেতৃত্ব দেন নি, সারা বিশ্বের শোষিত ও নির্যাতিত মানুষের পক্ষে প্রতিবাদ করে বিশ্ব নেতায় পরিনত হয়েছিলেন। বক্তারা দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার গুরুত্ব আরোপ করেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুস সালামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, জেলাবাসির কাছে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে ইতিমধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি কথা সংরক্ষণ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এছাড়া বই প্রেমিক ও পাঠক সমাজকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত করতে জেলা গণগ্রন্থাগারে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রায় ছয় হাজার বই সংগৃহীত করা হয়েছে। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা জহুরা ও নারায়ণগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ রুমন রেজা, সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি নাফিজ আশরাফ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি। সভা পরিচালনা করেন জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আমীর হোসাইন স্মীথ। এ সয়ম আরও উপস্থিত ছিলেন, মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার বিল্লাল হোসেন রবিন, বৈশাখী টিভির জেলা প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম রফিক, কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি দীলিপ কুমার মন্ডল, সময় টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি সৈকত আশিক, ইন্ডিপেন্ডেট টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি রাকিবুল হাসান প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
বিদ্যানিকেতনে ডিসি
ভূঁইয়ারবাগের বিদ্যানিকেতন স্কুলে বক্তৃতাকালে মোস্তাইন বিল্লাহ বলেছেন, বর্তমান প্রজন্মকে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সাথে বঙ্গবন্ধু অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে ঘাতকরা আমাদের ইতিহাসকে ভিন্ন ধারায় প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু একটি সময়ে সেটি তারা করতে পারেনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন হয়েছিল বলেই আজ আমরা সমাজে বিভিন্নভাবে প্রতিষ্ঠিত। যদি পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকতাম তাহলে আমি আজকে জেলা প্রশাসক হতে পারতাম না। অনেকেই এ পর্যায়ে আসতে পারত না। তিনি বলেন, আমাদের বর্তমান প্রজন্মকে দেশের ইতিহাস জানতে হবে। আমাদের একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস আছে। যে ইতিহাসের জন্য আমরা গৌরববোধ করতে পারি। তিনি বলেন, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের প্রত্যেককে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং চেতনাকে ধারণ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদেরকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং ত্যাগের কথা জানতে হবে। আমাদের হৃদয়ে বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করতে হবে। তিনি শনিবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে বিদ্যানিকেতন হাই স্কুলের মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। বিদ্যানিকেতন হাই স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ূনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা জহুরা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ রুমন রেজা, বিদ্যানিকেতন ট্রাস্টের সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন চুন্নু এবং প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার সাহা। এর আগে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ করেন বিদ্যানিকেতনের শিক্ষক সুইটি বণিক। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর উপর রচিত গান, আবৃত্তি এবং নৃত্য পরিবেশন করেন বিদ্যানিকেতনের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা। বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে একটি মনোরম দেয়ালিকা প্রকাশ করা হয়।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।