Logo
HEL [tta_listen_btn]

বাজার দর্পণ লাগামহীন ভোজ্যতেল ও চালের দাম

বাজার দর্পণ লাগামহীন ভোজ্যতেল ও চালের দাম

নিজস্ব সংবাদদাতা:
বেড়েই চলেছে ভোজ্যতেল ও চালের দাম। নি¤œবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা বাজারে গিয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। লকডাউন শিথিল হওয়ার পর নারায়ণগঞ্জ শহরের বাজারগুলোতে শাকসবজি আমদানী বেড়ে যাওয়ায় দামের দিক দিয়ে স্থিতিশীল রয়েছে। তবে আগের থেকে কিছুটা চওড়া দামে বিক্রি হচ্ছে আলু, পেঁয়াজ, আদা, রসুন। সবজি বিক্রেতারা জানান আলু, পেঁয়াজ, আদার দাম বাড়লেও সবজির বাজারে ক্রেতা সমাগম কম থাকায় দামের ক্ষেত্রে স্থিতিশীল রয়েছে। এদিকে গত মাসে কোরবানি ঈদ হওয়ায় মাংসের চাহিদা অনেকটা কম। তবে বেড়েছে মাছের চাহিদা ও মাছের দাম। তিনশ’ টাকার নিচে কোন মাছের দাম হাকানো যায় না। যেখানে প্রতি কেজি রুই ৩শ’ টাকা দরে বিক্রি হতো এখন তা বেড়ে ৩৫০ থেকে ৪শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ও দেশীয় চিংড়ি ৮শ’ টাকায়, রুপচান্দা মাঝারি সাইজ ৮শ’ টাকা, পাঙ্গাস ১২০-১৩০ টাকা, শিং ৪শ’ টাকা থেকে ৫শ’ টাকা, কাতলা ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, বোয়াল মাছ মানভেদে ৫শ’ থেকে ৮শ’ টাকা, বাইলা মাছ ৬শ’ টাকা, এছাড়া ও ইলিশ মাছ মানভেদে ৬শ’ থেকে ১২শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগীর দাম কিছুটা কমেছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগী ১২০ টাকা, লাল লেয়ার ২২০ থেকে ২২৫ টাকা, তবে মুরগীর দাম না বাড়লেও বেড়েছে ডিমের দাম । একহালি দিমের দাম ৩৫ টাকা, দেশী মুরগীর ডিমের হালি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, এছাড়া ও হাঁসের ডিম ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এরই মধ্যে খুচরা ও পাইকারি বাজারে চাউল, তেলের দাম বেড়েই চলেছে। শহরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার ঘুরে দেখাগেছে গত সপ্তাহ থেকে চলতি সপ্তাহে চাউলের দাম প্রতি কেজি পাঁচ থেকে সাত টাকা বেড়েছে। বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ভোজ্য তেলের। সরজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, বাজারে বাসমতি চাউল কেজি ৬৫ টাকা। মিনিকেট চাউল প্রতি কেজি ৫৮ টাকা নাজির শাইল প্রতি কেজি ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি জাতের চাউল প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও পোটল ৩০ টাকা, ঢেরশ ৩৫ টাকা, কহি ২০ টাকা, লতি ২০ টাকা, পেপে ২৫ টাকা, পুইশাক ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে কাচা মরিচের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে বেশী। সব মিলিয়ে কাচা বাজার গুলোতে ঘুরে দেখাগেছে বেশীর ভাগ সবজির প্রতি কেজি ২০-৩০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। দিগু বাজারের আওলাদ মিয়া জানান, বাজারে সবজির দাম স্থিতিশীল থাকলেও প্যাকেটজাত ও খোলা ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে। পেকেট তেল এক কেজি ১৫০ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল প্রতি কেজি ১৩৫-১৪০ টাকা ও পাম সুপার ১৩০ টাকা ধরে বিক্রি করতে দেখা যায়। কালিবাজারের এক ক্রেতা জানান, সবজিসহ কিছু কিছু জিনিসের দাম কম থাকলে ও চাউল ও তেলের দাম নাগালের বাহিরে তাই নিত্যপণ্যের দাম মানুষের হাতের নাগালে আনার জন্য সরকারের কিছু করা উচিত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com