Logo
HEL [tta_listen_btn]

এনসিসি নির্বাচন  মনোনয়ন পেতে মরিয়া আইভী

এনসিসি নির্বাচন  মনোনয়ন পেতে মরিয়া আইভী

নিজস্ব সংবাদদাতা:
সামনেই নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (এনসিসি) নির্বাচন। এই নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়ন পেতে ডা. আইভী নানা মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছেন। এক কথায়, মনোনয়ন ছিনিয়ে আনতে তিনি এখন মরিয়া। দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে নগরের দায়িত্বে রয়েছেন। নিজের সমর্থকদের কাছে তুমুল জনপ্রিয়। যদিও নিজ দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেই তার অবস্থান, এমন অভিযোগ তৃণমূলের। নিজ বলয়ের লোকদের দিয়ে প্রচার করান উন্নয়ন আর উন্নয়ন, নগরজুড়ে মহাযজ্ঞ। কিন্তু বাস্তবে কতটুকু নগর জীবনে সহায়ক হয়েছে সেই উন্নয়ন, এ প্রশ্ন হরহামেশাই করেন সাধারণ জনতা। ‘নিজের একান্ত ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ঠিকাদার ফুলে ফেঁপে বিত্তবান হয়েছে, নাগরিক সুবিধা কি বেড়েছে?’ পাল্টা এমন প্রশ্ন করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের কথা, ‘এতোই যখন উন্নয়ন আর জনপ্রিয়তা, তবে কেন নির্বাচন নিয়ে তার ভীতি, তবে কী তিনি বুঝে গেছেন নমিনেশন পাচ্ছেন না?’ ২৩ আগস্ট দুপুরে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর খোন্দকার যখন জানান, ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন, ইউনিয়ন পরিষদ ও জেলা পরিষদসহ স্থানীসকল নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বরে সম্পন্ন করা হবে। এর পর থেকেই নারায়ণগঞ্জের সর্বত্র নির্বাচনী আলোচনা জমে উঠেছে। নির্বাচন নিয়ে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের নানা প্রতিক্রিয়ায় স্পষ্ট হয়েছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী ৩ বারে টানা প্রায় ১৮ বছর এ নগরের দায়িত্বে। কিন্তু তার বিভিন্ন বির্তকিত কর্মকান্ড নিয়ে যখনই কেউ কোন প্রতিবাদ করে, অভিযোগ করে; মেয়র আইভীর পক্ষ থেকে বলার চেষ্টা করা হয়- ‘নির্বাচনকে টার্গেট করে এমন প্রতিবাদ, অভিযোগ। আবার কখনও কখনও ওসমান পরিবারের বিরুদ্ধে বিষোদাগার করে পার পেতে চান। জেলার বিভিন্ন দলের নেতাদের সাথে আলাপাকালে তারা জানান, নির্বাচন করার অধিকার সবার। তিনি এক চেয়ারে দীর্ঘদিন বসে, ক্ষমতার লোভে অন্ধ হয়ে গেছেন। বোধ-বুদ্ধির হ্রাস ঘটেছে। কেননা, অভিযোগ আসলে তার দায়িত্ব তথ্য প্রমাণ দিয়ে প্রকাশ করা, ‘অভিযোগ মিথ্যে’। তা না করে নির্বাচন প্রসঙ্গ বার বার কেন টেনে আনেন? আর জনগণ তো প্রতিটি জনপ্রতিনিধির কর্মকান্ডের রেজাল্ট দিবে নির্বাচনের মধ্যেই। আসলে তার সৎ সাহসের অভাব। তিনি, নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের বিরুদ্ধে একই কথা প্রতিনিয়ত বলে বলে নগরবাসীর ভাবনা ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেন। এটা ঠিক না। তার উন্নয়ন কাজের কোন স্বচ্ছতা নেই, নেই কোন জবাবদিহিতা। এদিকে, নিজ দলের নেতাকর্মীরা সব সময়ই অভিযোগ করেন ‘মেয়র আইভী আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের জন্য কিছুই করেন নাই। আর শীর্ষ নেতাদের প্রায় অপদস্ত ও অপমান করে বক্তব্য রাখতে পছন্দ করেন।
নারায়ণগঞ্জ বিএনপি নেতারা জানান, ‘বিএনপির ভোটাররা বর্তমান মেয়রকে ভোট দিয়েছে কিন্তু সে অনুযায়ী কিছুই তারা পায়নি। বরং উন্নয়নের নামে টেক্সের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। মহল্লায় দু-একটা কাজ করলে তাকে উন্নয়ন বলা যাবে না। জেলার বাম ঘরোনার মেয়র পন্থি নেতারাই বলছেন, ‘আপোসকামীতার মধ্য দিয়ে নীতি বিবর্জিত সমর্থন আর কাউকে দেয়া হবে না। বিশিষ্ট নাগরিক ও বোদ্ধামহলের মতে, উন্নয়নের নাম করে অমানবিক জবর-দখল, মসজিদ-মন্দির দখল, নিজ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে হিন্দুদের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ, ঠিকাদারের নির্মাণ কাজে প্রাণহানির ঘটনাসহ নানা বির্তকে মেয়র আইভী ও তার বলয়ের নেতারা বুঝতে পেরেছে, জনগন ক্ষোভে ফুঁসছে। তাই তাদের মনে ভীতি তৈরী হয়েছে। আশঙ্কায় রয়েছে, নমিনেশন পাওয়া নিয়ে। কারন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও তার চারদিকের দায়িত্বরতদের সকল কর্মকান্ডের তথ্য বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ সরকারি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে রয়েছে। তাদের মতে, বিশ্ব মানবতার মা নতুন বাংলা গড়ার কারিগর বঙ্গবন্ধুর কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদিচ্ছায় প্রচুর উন্নয়ন বরাদ্দ নারায়ণগঞ্জে। কিন্তু অপরিকল্পিত ও জবাবদিহিতার অভাবে এবং দীর্ঘ ক্ষমতায়নের কারণে মেয়র আইভীর স্বেচ্ছাচারিতায় নারায়ণগঞ্জ নগরবাসী সরকারের সেই উন্নয়ণ থেকে যেমন বঞ্চিত হয়েছে, তেমনি আওয়ামী লীগ সরকারের সুনাম তুলে ধরাতে ব্যর্থ হয়েছে। ‘নানা বির্তকে আতংকিত মেয়র, আগামীতে নৌকার নমিনেশন পাবেন তো আইভী?’ এমন আলোচনা এখন সর্বত্র।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com