নিজস্ব সংবাদদাতা:
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার আহŸায়ক রফিউর রাব্বি বলেছেন, ‘এ সরকার কোনো কাজ করে না। উন্নয়নের নামে তারা আামদের দেশের প্রাণ, প্রকৃতি, বৈচিত্র, বন সব কিছু ধ্বংসের যজ্ঞ শুরু করেছে। এই ধ্বংসের যজ্ঞকে তারা উন্নয়ন বলছে। জনগণের বিরুদ্ধে দাড়িয়ে, দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তারা এই কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে। এশিয়া এনার্জি সেসময়ে বিতাড়িত হলেও তারা নাম বদলে আমাদের দেশে কাজ শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে ফুলবাড়ি দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘২৫০ বছর আগে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে কতিপয় মীর জাফররা আতাত করে এ ভূখন্ডের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়েছিল। সেই ধারবাহিকতা আমাদের এখানে চলছে। যে এশিয়া এনার্জির লুটপাটের বিরুদ্ধে দাড়িয়েছি, এর শুরুটা হয়েছিল ১৯৯৭ সালে। তৎকালীন সময়ে এদেশের খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানের জন্যে আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে এশিয়া এনার্জির চুক্তি হয়েছিল। সে ধারাবাহিকতায় দিনাজপুরের ফুলবাড়িয়ায় কয়লা উত্তোলনের জন্যে ২০০৫ সালে তৎকালীন বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকারের সাথে তাদের ৩০ বছর মেয়াদি চুক্তি হয়। যাতে মাত্র ৮ ভাগ মালিকানা নিয়ে তৎকালীন সরকার এশিয়া এনার্জিকে উন্মুক্ত উত্তোলনের অনুমোদন দেয়। তখন নিজেদের বসত বাড়ি রক্ষার জন্য সেখানকার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয় এবং সেই আন্দোলন এই আগস্ট মাসে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌছায়। তিনি বলেন, ‘এই ২৬ আগস্টে ফুলবাড়ির মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামে। তাদেরকে দমানোর জন্যে পুলিশের সাথে বিডিআর নামানো হয়। সে ঘটনায় ৩ জন মারা যান এবং শত শত মানুষ আহত হয়। পরবর্তী ৪ দিন পর্যন্ত সেখানে কোনো প্রশাসনের লোক, সরকারি প্রতিনিধি ছিল না। আমরা ফুলবাড়িয়ার লোকদের লাল সালাম জানাই শ্রদ্ধা জানাই। যদি প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায় এই শাসকগোষ্ঠীর যেকোনো অপতৎপরতা, জনবিরোধী ও দেশ বিরোধী তৎপরতা প্রতিহত করা সম্ভব। রফিউর রাব্বি বলেন, ‘তখন ৩০ তারিখ তাদের সাথে আমাদের ৬ দফা চুক্তি হয়। যাতে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা আশ্বাস দিয়ে বললেন যে, তারা ক্ষমতায় আসলে এই ৬ দফা বাস্তবায়ন করা হবে। আজকে তারা ১৩ বছর ধরে ক্ষমতায় এলেও সে চুক্তি এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। তারা শুধু তখন কথাটা বলেছিলো ক্ষমতায় যাওয়ার লোভে। বক্তব্য শেষে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে ২নং রেলগেইট এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সদস্য সচিব ধীমান সাহা জুয়েলের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, জেলা বাসদের সমন্বয়ক নিখিল দাস, সমমনার সভাপতি দুলাল সাহা, জেলা গণসংহতির সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস, জেলা ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক এড. আওলাদ হোসেন, প্রগতি লেখক সংঘের সভাপতি জাকির হোসেন, জেলা বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির রাশিদা আক্তার প্রমুখ।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।