বন্দর সংবাদদাতা:
শহরের হোসিয়ারি শ্রমিক সুমন (২৫) হত্যা মামলার ১নং এজাহারভুক্ত আসামী প্রশান্ত রায় (২২)কে ৩ দিনের রিমান্ড শেষে ফের আদালতে প্রেরণ করেছে বন্দর ফাঁড়ি পুলিশ। রোববার (২৯ আগস্ট) দুপুরে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর ফের আদালতে প্রেরণ করা হয়। এর আগে গত শুক্রবার দুপুরে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বন্দর ফাঁড়ি ইনচার্জ পুলিশ পরির্দশক সঞ্জয় কুমার দাস মামলাটি তদন্তস্বার্থে গ্রেফতারকৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে আনে। মামলা নং-৫(৮)২১ ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড। রিমান্ডকৃত প্রশান্ত রায় ফতুল্লা থানার দেওভোগ এলাকার জগনাথ রায়ের ছেলে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জ সদর থানার দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকার আব্দুর রহিম মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া শহরে একটি হোসিয়ারি কারখানা কাজ করত। এ সুবাদে সুমন মিয়া ফতুল্লা থানার দেওভোগ এলাকার জগনাথ রায়ের ছেলে প্রশান্তের সাথে কাজ করার সুবাদে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর ধারাবাহিকতায় গত ৩ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে বন্ধু প্রশান্ত অপর বন্ধু হোসিয়ারি শ্রমিক সুমনকে বন্দর রুপালী এলাকায় ডেকে আনে। পরে প্রশান্তসহ বন্দর থানার একরামপুর আকিজ সিমেন্টস্থ শরিফ মিয়ার ছেলে নাঈম ও বন্দর কাঠপট্রি এলাকার ছোট শাহজাহানসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জন সন্ত্রাসী হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। পরে স্থানীয়রা মারাত্মক জখম অবস্থায় সুমনকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দ্রæত ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন রাতে সুমন মৃত্যু বরণ করে। এ ঘটনায় গত ৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাতে নিহত হোসিয়ারি শ্রমিকের ছোট বোন সুর্বনা আক্তার রাজিয়া বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বন্দর পুলিশ ফাঁড়ি ইনর্চাজ পুলিশ পরিদর্শক সঞ্জয় কুমার দাস গণমাধ্যমকে জানান, হোসিয়ারি শ্রমিক সুমন হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলার ১নং এজাহারভুক্ত আসামী প্রশান্ত রায়কে গ্রেফতার করে রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যহত আছে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।