সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
১৮ টি শ্রমিক সংগঠনের জোট ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিল-আইবিসি’র উদ্যোগে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় ৮ দফা দাবিতে “শ্রম ভবন ঘেরাও” কর্মসূচী পালন করা হয়। আইবিসি’র সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন স্বপন উক্ত ঘেরাও কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য রাখেন আইবিসির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান, আইবিসি’র কেন্দ্রীয় নেতা আমিরুল হক আমিন, মোঃ তৌহিদুর রহমান, কুতুব উদ্দিন আহমেদ, জেড এম কামরুল আনাম, রুহুল আমিন, নুরুল ইসলাম, বাবুল আক্তার, চায়না রহমান, রাশেদুল আলম রাজু, মীর আবুল কালাম আজাদ, শহিদুল্যা ভুঁইয়া প্রমুখ। ঘেরাও কর্মসূচীতে সংহতি বক্তব্য রাখেন: শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ স্কপ এর যুগ্ন সমন্বয়কারী মোঃ আনোয়ার হোসেন, জি স্কপ এর কেন্দ্রীয় নেতা নইমুল আহসান জুয়েল, গার্মেন্টস শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব আবুল হোসাইন, গার্মেন্টস ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কার্যকরি-সভাপতি রুহুল আমিন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট এর সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, গ্রামীন টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফিরোজ মাহমুদ হাসানসহ বিভিন্ন গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ। ঘেরাও কর্মসূচীতে বক্তারা বলেন, শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে ঢাকা ডিভিশন অফিসে বদলি হয়ে আসেন এবং এসেই শ্রমিকদের সত্যিকারের ইউনিয়নকে মালিকের সাথে অবৈধ লেনদেন এর মাধ্যমে সব কাগজ পত্র ঠিক থাকার পরও উহা রেজিষ্ট্রেশন না দিয়ে বাতিল করে দেন। এ সকল কর্মকর্তারা টাকার বিনিময়ে মালিকদেরকে গোপনে আইনি পরামর্শ দেয়াসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন মুল্যবান কাগজপত্র সরবরাহ করে বিদ্ধমান ইউনিয়নকে নিঃশেষ করার কাজে সদা লিপ্ত থাকেন। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ডাইফের নিকট যদি শ্রমিকরা কোন অভিযোগ করেন, তবে উহা মাসের পর মাস পড়ে থাকে, আর যদি কোন কারখানার বে-আইনি ভাবে চাকরী হারানো কোন শ্রমিকরা গ্রæপ অভিযোগ করেন, তবে ডাইফের এক শ্রেনীর কর্মকর্তারা মালিকদেরকে সুবিধা দিতে আইনের বাহিরে গিয়ে সমস্যা সমাধান করার জন্য শ্রমিক প্রতিনিধিদেরকে অনেক সময় বাধ্য করেন। শ্রম মন্ত্রণালয়, শ্রম অধিদপ্তর এবং ডাইফের সকল শাখা অফিস গুলো এখন দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, গনতান্ত্রিক শ্রম আইন ও বিধি প্রনয়ন, শ্রমিকদেরকে চাকুরীচ্যুত বন্ধ করণ, শ্রমিক ও নেতাদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ট্রেড ইউনিয়ন রেজিষ্ট্রেশনে সকল প্রকার লিখিত ও অলিখিত বাধা দুর করা, অবাধ ট্রেড ইউনিয় অধিকার নিশ্চিত করা, দুই দপ্তরের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদেরকে প্রত্যহার সহ ৮ দফা দাবি মানতে হবে। অন্যথ্যায় আইবিসি’র উদ্যোগে আগামী দিনে স্কপসহ সকল সংগঠনকে সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।