নিজস্ব সংবাদদাতা:
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেছেন,ছাত্রদের ব্যাপারে শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে।একজন শিক্ষকই পারে একজন ছাত্রকে আদর্শবান নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে। তিনি বলেন,আমাদের সমাজে তরুণ সমাজ দিন দিন অবক্ষয়ের দিকে চলে যাচ্ছে। মা-বাবা কর্মের প্রয়োজনে সব সময় তার সন্তানের প্রতি যতœবান হতে পারেনা। যে কারণে অনেক কিশোর কিংবা তরুণরা বিপথে চলে গিয়ে কেউ মাদকাসক্ত কিংবা কিশোর গ্যংয়ের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। এজন্য একমাত্র শিক্ষকরাই পারে তাদের সঠিক পথে নিয়ে আসতে। তিনি বলেন,দিনের প্রায় বারো ঘন্টা একজন ছাত্র শিক্ষকের সাথে কোন না কোন ভাবে জড়িয়ে থাকেন। তাই এদের ব্যাপারে শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। এসপি বলেন, দীর্ঘ ১৮ মাসের করোনাকালীন সময়ে সকল পিতা মাতাই তার সন্তানকে নিয়ে শংকিত ছিল। অনিশ্চয়তার মধ্যে সরকার ভবিষৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করেই স্কুল খুলে দিয়েছে। এ শিশু কিশোররা যাতে কোন ভাবেই শারীরিক ও মানষিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য আমাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।তিনি বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল এন্ড কলেজে পরিদর্শন করতে এসে শিক্ষকদের সাথে মত বিনিময়ের সময় এ কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান,সুভাস চন্দ্র সাহা,নাজমুল আলম, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজামান, নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালনা পরিষদ সদস্য আবদুস সালাম,ওয়াহিদ সাদাত বাবু, সরকার আলম এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কামরুল ইসলাম। পরে এসপি জায়েদুল আলম বিভিন্ন কক্ষ,পাঠাগার এবং কম্পিউটার রুম পরিদর্শন করেন।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।