Logo
HEL [tta_listen_btn]

ক্লাসে নিষিদ্ধ জেলার ৩১২ শিক্ষক

ক্লাসে নিষিদ্ধ জেলার ৩১২ শিক্ষক

নিজস্ব সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন না নেয়ায় ৩১২ জন শিক্ষকের ক্লাসে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জেলা শিক্ষা অফিস। এদের মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ে রয়েছেন ২১২ জন এবং ১শ’ জন আছেন প্রাথমিকে। তবে টিকা না নেয়া এই ৩১২ জন শিক্ষকের অনেকেই স্কুলে যাচ্ছেন এবং শ্রেণিকক্ষে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। যদিও মাধ্যমিক পর্যায়ের যেসব শিক্ষক এখনো টিকা গ্রহণ করেননি তাদেরকে শ্রেণিকক্ষে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধুমাত্র অফিসকক্ষে থাকতে বলা হয়েছে তাদের। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, রেজিস্ট্রেশন করা শিক্ষকরা যোগাযোগ করলে তাদের টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এদিকে শিক্ষকদের টিকা নেয়া বাকি থাকায় অভিভাবকদের কেউ কেউ সন্তানদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কারণ কোনো শিক্ষার্থীকে এখনো টিকা দেয়া হয়নি। যদিও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করে ক্লাসে গেলে শিক্ষার্থীদের জন্যে ঝুঁকি কম থাকবে। জেলা শিক্ষা অফিস ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, জেলায় মোট শিক্ষক রয়েছেন ১১ হাজার। এরমধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক চার হাজার এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সাত হাজার জন। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে গত ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টিকা গ্রহণের জন্যে রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৩ হাজার ৯০০ জন। আর রেজিস্ট্রেশন করেননি ১০৩ জন। রেজিস্ট্রেশন করা শিক্ষকদের মধ্যে টিকা গ্রহণ করেছেন ৩ হাজার ৯০০ জন। মাধ্যমিক পর্যায়ে জেলায় শিক্ষক রয়েছেন ৭ হাজার। এদের মধ্যে ৬ হাজার ৭৮৮ জন টিকা গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শরিফুল ইসলাম। তার দেয়া তথ্যানুযায়ী, জেলায় এখনো পর্যন্ত মাধ্যমিক পর্যায়ের ২১২ জন শিক্ষক টিকা গ্রহণ করেননি। এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ভ্যকসিন না নেয়া শিক্ষকদের শ্রেণিকক্ষে যেতে আমরা না বলেছি। তারা শুধু স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস কক্ষে থাকতে পারবেন। তবে টিকা না নেয়া শিক্ষকদের মধ্যে মাতৃত্বকালীন অবস্থা, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, উচ্চ রক্তচাপ, দুগ্ধদানকারী মা এবং জটিল রোগে আক্রান্তরা রয়েছেন। এদিকে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অহিন্দ্র কুমার মÐল বলেন, আমাদের বেশির ভাগ শিক্ষকরাই কোভিড-১৯ এর টিকা গ্রহণ করেছে। অল্পসংখক শিক্ষক গ্রহণ করেননি, তবে তারাও শিগ্রই টিকা নিয়ে নিবেন। এছাড়া যারা অকারনেই টিকা গ্রহণ করছেন না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, যে শিক্ষকরা টিকা গ্রহণ করেননি তাদের টিকা দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। তারা আসলেই টিকা গ্রহণ করতে পারবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com