Logo

রূপগঞ্জে জেলা শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সমাবেশ

রূপগঞ্জে জেলা শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সমাবেশ

রূপগঞ্জ সংবাদদাতা
রূপগঞ্জে ৫ দফা দাবিতে সেজান জুস কারখানার সামনে শ্রমিক সমাবেশ করেছে জেলা শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। গতকাল শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের নেতা বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের জেলা কমিটির সভাপতি আব্দুল হাই শরীফ। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সহিদুল্লাহ চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কামরুল আহসান, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ফিরোজ হুসাইন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাফিজুল ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, জেলা সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস, জাতীয় শ্রমিক লীগের জেলা নেতা মাইন উদ্দিন, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের জেলা মহানগর সভাপতি মোঃ আলী আসগরসহ শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের জেলা ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। শ্রমিক সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ৮ জুলাই রূপগঞ্জ সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাÐের পর শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করে ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। এই কমিটি সরজমিনে পরিদর্শন করে শ্রমিক কর্মচারী, কর্মকর্তা, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন, বিভিন্ন পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ, আইনজীবী, সমাজের বিভিন্ন স্তরের নাগরিক প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করে একটি প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে। শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের পর্যবেক্ষণে সেজান জুস কারখানায় গুরুতর অসঙ্গতি পাওয়া গেছে, যার দায় মালিক পক্ষ, অগ্নি-নির্বাপক কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় সরকার প্রশাসন, শ্রম দপ্তর ও কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর কোনভাবেই এড়াতে পারে না। বিশেষকরে ভবন নির্মাণে ত্রæটি, প্রয়োজনীয় অগ্নি-নির্বাপক ব্যবস্থা না থাকা, ফ্লোরে তালাবদ্ধ রাখা, শিশু শ্রমিক নিয়োগ, শ্রম আইন ও শ্রমবিধি অমান্য করা, শ্রম-পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন না করা, স্বল্প মুজুরিতে কাজ করতে বাধ্য করা এবং কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন না থাকায় এই নির্মম অগ্নিকাÐের ঘটনা ঘটেছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, দায়ী মালিকপক্ষসহ অভিযুক্ত সকল পক্ষগুলোর বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে বিচার হওয়া দরকার। নিহতদের আইএলও-১২১ ধারা মতে এক জীবনের সমপরিমাণ আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ প্রদান করা উচিৎ। আহতদের উপযুক্ত চিকিৎসা ও আইনানুগ ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিৎ। আমরা বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানাচ্ছি। মালিকপক্ষ ও কর্তব্য অবহেলার জন্য দায়ীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। মৃত্যুবরণকারি ও আহত শ্রমিকদের আইএলও কনভেনশন-১২১ ধারায় ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানাচ্ছি। কারখানা পুনরায় চালু না হওয়া পর্যন্ত সকল শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি প্রদানের দাবি জানাচ্ছি।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, শ্রমিকদের ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন অব্যহত রাখতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। পুনরায় আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হবে। শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com