Logo
HEL [tta_listen_btn]

প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় জনগণকে নামতে হবে রফিউর রাব্বি

প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় জনগণকে নামতে হবে রফিউর রাব্বি

নিজস্ব সংবাদদাতা
সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহবায়ক রফিউর রাব্বি বলেছেন, আজকে সিআরবি ধ্বংস করা গেলে ওইখানে দম নেয়ার আরেকটি জায়গা তৈরি করা যাবে না। কারণ এই যে লুটপাটের মহাযজ্ঞ অব্যাহতভাবে চলছে তার সাথে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা জড়িত। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার, রূপগঞ্জের হাজার হাজার একর জায়গা লুটপাট করা হচ্ছে। জোর জবরদস্তি একটা কোম্পানিকে সামনে রেখে দখল হচ্ছে। কারা করছে? কেউ তা বলে না। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার লোকজন এর বিরুদ্ধে মুখ খুলে না। জমি রক্ষার জন্য কমিটি হয়েছে। সেই কমিটি জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছে, আদালতে মামলা করেছে। কিন্তু কোনো কিছুই হয় না। জেলা প্রশাসক তদন্ত করবে করছে ইত্যাদি ইত্যাদি। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা আছে কিন্তু কোনো কিছু সেখানে কার্যকর হয় না।’ গতকাল শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর চাষাঢ়ায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত সিআরবি রক্ষায় প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ফসলি জমি নষ্ট করা যাবে না, দেশে এমন আইন আছে। রূপগঞ্জে শত শত একর ফসলি জমি কীভাবে নষ্ট হচ্ছে কারা তা অধিগ্রহণ করছে? আমাদের নারায়ণগঞ্জের পরিবেশ অধিদপ্তর সেগুলোকে আবার ছাড়পত্র দিচ্ছে। তারা বলছে যে, এসব ফসলি জমি না। আবার পেছন থেকে তারা কানে কানে বলছে যে, এসব ফসলি জমি কিন্তু আমাদের বলা হয়েছে ফসলি জমি না বলে ছাড়পত্র দিতে। যখন সরকার নিজে লুটপাটে অংশগ্রহণ করে সাধারণ মানুষের সম্পত্তি ধ্বংস করতে চায় সেটি সহজে ঠেকানো যায় না।’ রফিউর রাব্বি আরও বলেন, ‘এরকম ২-৪টি সমাবেশ করে এই লুটেরা, রাক্ষসদের হাত থেকে আমাদের সম্পদ রক্ষা করতে পারবো না। আমরা যদি সরকারের এই আগ্রাসী চরিত্র বুঝতে পারি এবং তাদের হিংস্রতা উপলব্ধি করতে পারি তাহলে আমাদের বুঝতে হবে সিআরবি রক্ষা আন্দোলন, সুন্দরবন রক্ষা আন্দোলন, গণতন্ত্র রক্ষা আন্দোলন, স্বাধীনতা রক্ষা আন্দোলনসহ সব আন্দোলন একসূত্রে গাঁথা। আমরা যদি ১৯৭১ সালের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চাই তাহলে এই সুন্দরবন রক্ষা করতে হবে, সিআরবি রক্ষা করতে হবে এবং আমাদের নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন জমি-জমা আমাদের রক্ষা করতে হবে। এই সরকারের হাত থেকে, এই প্রশাসনের হাত থেকে এই সম্পদ রক্ষার্থে যদি জনগণ না নামে তাহলে একে রক্ষা করা যাবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘যে চট্টগ্রাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যে বিখ্যাত ছিল সে চট্টগ্রামকে সৌন্দর্যবর্ধনের নামে যেখানেই খালি জায়গা পেয়েছে সেখানেই স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। অত্যন্ত নি¤œমানের স্থাপনা নির্মাণ করে এই জায়গাগুলোর মধ্যে লুটপাট চলছে। সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী সবাই এই আয়োজনের সাথে যুক্ত থেকেছে। যখন চট্টগ্রামে ও এর আশেপাশের খালি জায়গাগুলো ভূমিদস্যুরা দখল করে নিচ্ছে তখন এই সিআরবিতে মানুষ নিশ্বাস নেয়ার জন্যে যেতো। গত বছরের মার্চ মাসে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ইউনাইটেড হাসপাতালের সাথে বাণিজ্যিকভাবে এখানে ৫০০ শয্যা হাসপাতাল নির্মাণের জন্যে চুক্তি করে। তারা সেখানে জমি অধিগ্রহণের নামে ত্রাস তৈরি করে। ওই জায়গার মানুষ এই জন্যে এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। আমরা এ জন্যে এর বিরুদ্ধে বলছি যে, চট্টগ্রামের ফুসফুস খ্যাত সিআরবিকে ধ্বংস করা যাবে না।’ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ভবানী শংকর রায়ের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন কবি শাহেদ কায়েস, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজল, সহসভাপতি ধীমান সাহা জুয়েল, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, কবি কাজল কানন প্রমুখ। সমাবেশে সঞ্চালনা করেন সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শাহীন মাহমুদ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com