Logo

ফরিদগঞ্জে শিশু ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আটক-১

ফরিদগঞ্জে শিশু ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আটক-১

কামরুজ্জামান, ফরিদগঞ্জ(চাঁদপুর) :
ফরিদগঞ্জে এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় অভিযুক্ত আ: হামিদ নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এনিয়ে একই দিনে ফরিদগঞ্জে দুই শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের হয়েছে। তবে অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে আটক করতে পারলেও অপরজন পলাতক রয়েছে। ঘটনাটি (২৭ সেপ্টেম্বর) সোমবার সকালে ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পুর্ব ইউনিয়নের দেইচর গ্রামে ঘটে। এঘটনায় সোমবার রাতেই শিশু শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত আ: হামিদ একই এলাকার মহ্রমের ছেলে ও দুই সন্তানের জনক। জানা গেছে, ঘটনার শিকার ঐ শিক্ষাথী স্থানীয় একটি মাদ্রসার ১ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর)সকালে সে আরো দুই-তিন শিশুর সাথে বাড়ির অদূরে একটি আখ ক্ষেতের পাশে খেলা করছিল। এসময় পেশায় দিনমজুর ও দুই সন্তানের জনক আ: হামিদ ঐ শিশুকে আখ(ইক্ষু) খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে আখ ক্ষেতের ভিতরে ডেকে নিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে শিশুটির ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আ: হামিদ পালিয়ে যায়। এব্যাপারে সোমবার রাতেই শিশুর মা বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত আ: হামিদকে আটক করে। এব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান জানান, মামলা দায়েরর পর অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অন্যদিকে একই দিন চকলেট খাওয়ার লোভ দেখিয়ে ১ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে কওমী মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের কাঁসারা গ্রামে এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। তবে পুলিশ অদ্যবদি অভিযুক্ত আবুল হোসেন নামে ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করতে পারে নি। বর্তমানে শিশুটি চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জানা গেছে, দারুল উলুম মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক আবুল হোসেন রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাদ্রাসার ছুটির পর ১ম শ্রেণির ৫ বছর বয়সি এক শিক্ষার্থীকে স্কুল ভ্যানের জন্য একা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তাকে মাদ্রাসার কক্ষে ডেকে নিয়ে চকলেটের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করে। পরে শিশুটি বাড়ি ফিরে গেলে তার মা বিষন্ন চেহারা দেখে সন্দেহ এবং একপর্যায়ে তাকে গোসল কারানোর সময় তার গোপনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ হতে দেখে আঁৎকে উঠে। । বিষয়টি তার বাড়ির অন্যান্য লোকজনকে জানানোর পর তারা বিকালেই থানা পুলিশকে মৌখিক ভাবে অবহিত করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শিশুটির মা থানায় মামলা দায়ের করে। অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল হোসেন উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে। এব্যাপারেও ফরিদগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) বাহার মিয়া জানান, মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে আটকের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com