বন্দর সংবাদদাতা:
বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের মালিবাগ কেরামতিয়া উচ্চ বিদ্যালয় হতে সরকারবাড়ী হয়ে লাঙ্গলবন্দ বাজার পর্যন্ত রাস্তাটির বেহাল দশা। রাস্তাটির পিচ উঠে গিয়ে অজ¯্র ছোটবড় গর্তে পরিণত হয়েছে। ওই গর্তে রিকশা যানবাহন গর্তে পরে মানুষ দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। তাছাড়া সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাটিতে ওই গর্তগুলোতে পানি জমে থাকে এবং পিছল হয়ে যায়। যারফলে যানবাহনতো দূরের কথা এ রাস্তা দিয়ে পাঁয়ে হেঁটে চলাও দূষ্কর হয়ে পড়ে। সরজমিনে দেখা গেছে, এ রাস্তাদিয়ে প্রায় ৯টি গ্রামের মানুষ চলাচল করে। এছাড়াও এ রাস্তায় বাহিরের লোকের চলাচলও কম নয়। এ রাস্তার পাশেই রয়েছে অসংখ্য মসজিদ, স্কুল ও বাজার। প্রতিদিন এসব স্থানে প্রায় সহ¯্রাধীক মানুষের পদচারণা ঘটে। সুতরাং অন্যতম গুরুত্বপূর্ন এ রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে প্রতিনিয়ত ওই সহ¯্রাধীক মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় এলাকাবাসীরা বলেন, কয়েকবছর আগে এ রাস্তাটি সংস্কার করা হলেও মাত্র অল্প সময়ের মধ্যেই রাস্তাটির পিচ বেহাল দশায় পরিণত হয়। মনেহয়, যে কন্ট্রাক্টোর এ রাস্তার কাজ করিয়ে ছিলো, তিনি বেশিরভাগ টাকাই তার পকেটে ভরেছেন। কেননা, বরাদ্ধকৃত টাকা দিয়ে যদি এ রাস্তাটি ঠিকঠাক মতো সংস্কার করা হতো, তাহলে কমপক্ষে ৫ বছর এ রাস্তার সুবিধা ভোগ করতো পারতো এলাকাবাসী। তারা আরও বলেন, রাস্তাটির এতটাই খারাপ অবস্থা যে, কোন রিকশা চালককে যদি দ্বিগুন ভাড়াও দেওয়া হয়, তবুও তিনি এ রাস্তায় আসতে চান না। মোটকথা কোন চালকই এ রাস্তা দিয়ে তাদের যানবাহন চালাতে চান না। অপরদিকে যে, পাঁয়ে হেঁটে পথ চলারও কোন উপায় নাই। রাস্তায় হেবোখেবো গর্তের কারণে পথ চলতে গিয়ে পাঁ মচকে আহত হয়েছেন অনেকেই। জানিনা, এ দূর্ভোগ থেকে এলাকাবাসী কবে মুক্তি পাবে। বার বার জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয় কিন্তু রাস্তা সংস্কার হয় না। এদিকে এ বিষয়ে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে কলটি কেটে দেন। তবে পরে একাধীক কল দিলেও তিনি কোন কল রিসিভ করেন নি। সুতরাং এ বিষয়ে তার কোন বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।