নিজস্ব সংবাদদাতা :
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী প্রতিপক্ষকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ওরা নারায়ণগঞ্জকে অস্থির করার চেষ্টা করছে। হিন্দু মুসলমান দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কে করছে এ সব? তারা কিন্তু এই আওয়ামী লীগের মধ্যে ডুব মেরে থেকে ব্যক্তি স্বার্থ দেখছে। ‘তারা কি একবারও চিন্তা করেছে? নারায়ণগঞ্জে এক আইভীকে ঠেকাতে গিয়ে জাতীয় ভাবে কোন দুর্যোগ ডেকে আনছে কি না!’ বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক লীগের প্রতিষ্ঠা বার্র্ষিকীর অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি মনে করি, শেখ হাসিনা যাকে ভালো মনে করবে, তাকেই মনোনয়ন দিবে। কিন্তু এই ভাবে একজন নারীকে যখন, যা খুশি তা বলবে, ফাঁসির মঞ্চে দাঁড় করাবে, এ ভাবে নারায়ণগঞ্জের পরিবেশকে অস্থির করা ঠিক কি না?’ সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে শহরের মধ্যে অযথা বিভিন্ন ভাবে প্রতিবন্ধকতা শুরু হয়েছে। দেখেন এই নারায়ণগঞ্জ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শহর। বহুদূর থেকে এসে মানুষ এক সাথে বসবাস করেন। কিন্তু কে বা কারা পূজা মÐপে এসে জোড় করে সাম্প্রদায়িক আইভী লিখে ব্যানার দিয়েছেন। বাংলাদেশের জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনিত প্রার্থী আমি ছিলাম। জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। সেখানে কিভাবে আমারই এই দলের একটি চক্র, এই ভাবে সাম্প্রদায়িক আইভী বলে পোস্টার লাগান। তারা নারায়ণগঞ্জকে অস্থির করার চেষ্টা করছে। হিন্দু মুসলমান দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কে করছে এ সব? তারা কিন্তু এই আওয়ামী লীগের মধ্যে ডুব মেরে থেকে ব্যক্তি স্বার্থ দেখছে। এমনও ব্যাপার আছে, তাঁর বিল্ডিং নাই, কিন্তু কোটি কোটি টাকা আয়। এই শহরে তাদের টাকার কোন অভাব নেই। টাকা দিয়ে তারা সব কিছু করতে পারে।’ শ্রমিক লীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে মেয়র আরও বলেন, ‘ভয় অবশ্যই পাইনি, ২০০৩ সালে নির্বাচন করেছি, ২০১১ সালে কি পরিস্থিতি ছিল, সেটাও দেখেছেন। ২০১৬ সালেও আমার বিরুদ্ধে কাজ করেছে, আমাকে ফাঁসির মঞ্চে পর্যন্ত দাঁড় করিয়েছে। আমি কিন্তু সেখান থেকেও নেত্রীর স্নেহভাজন হয়েছি।’
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।