নিজস্ব সংবাদদাতা :
সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মনিরুল আলম সেন্টু পেয়েছেন নৌকার মনোনয়ন। তবে তার মনোনয়ন বাতিল হতে পারে। এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু। গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর দল থেকে তাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। বিএনপির বহিষ্কৃত এই নেতাই এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। একক প্রার্থী হিসেবে তার নামই কেন্দ্রে পাঠিয়েছিল স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমানের সংসদীয় এলাকায় বিএনপির সাবেক নেতাকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়ার সুপারিশ করায় নেতাদের উপর চরম ক্ষোভ রয়েছে তৃণমূলের। তবে এই ক্ষোভ প্রকাশের সুযোগ বা সাহস নেই তাদের। স্থানীয় সূত্র বলছে, সাবেক বিএনপি নেতা মনিরুল আলম সেন্টুর উপর নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ একেএম শামীম ওসমানের আশীর্বাদ রয়েছে। বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকলেও বরাবরই শামীম ওসমানকে নেতা মেনেছেন সেন্টু। গত সংসদ নির্বাচনের পূর্বে শামীম ওসমানের কর্মীসভাতেও তার সরব উপস্থিতি ছিল। অভিযোগ রয়েছে, সাংসদের আশীর্বাদপুষ্ট বিএনপি নেতাকে জেতাতেই গত নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ হটিয়ে বিএনপির প্রার্থীকে সুযোগ দেওয়ার এই কার্যক্রম বিগত নির্বাচনগুলোতে গোপনে হলেও এবার তা হচ্ছে প্রকাশ্যে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের বঞ্চিত করে বিএনপি নেতাকে আওয়ামী লীগের নৌকা দেওয়া হয়েছে।কেননা কুতুবপুরে এবার মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল শিকদার, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোস্তফা কামাল, সদস্য শাহ্ আলম গাজী টেনুসহ অনেকেই। এদিকে আওয়ামী লীগের একটি সূত্র বলছে, বিএনপি নেতাকে নৌকার মনোনয়ন দেয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তা নজরে আসে কেন্দ্রের। তারা বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা সেন্টুর মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই বলেন, এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি কেন্দ্র। তবে তার মনোয়ন বাতিল হবার সম্ভবনা রয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরও বলেন, ‘সেন্টুর বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা রয়েছে। সে বিএনপির পদধারী নেতা ছিল। গঠণতন্ত্র অনুযায়ী সে নৌকার মনোনয়ন পেতে পারে না। তার মনোনয়ন বাতিল হওয়াই উচিত।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।