নিজস্ব সংবাদদাতা:
শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে হাজীগঞ্জে হযরত আবু বকর সিদ্দিকা রা. জামে মসজিদে মহানগর যুবলীগ মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। এ সময় মহানগর যুবলীগ সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভ‚ঁইয়া সাজনু বলেছেন, কুমিল্লা ঘটনাটি ঘটিয়েছে ইবলিশ আর শয়তানরা। মানুষ কখনো এমন ঘটনা ঘটাতে পারে না। দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র ও অস্থিতিশীল করার জন্য এমন ঘটনা চেষ্টা করে গেছে। তারা পারে নাই সৃষ্টিকর্তার কারণে। কারণ শয়তান সৃষ্টিকর্তার সাথে পারে না। সৃষ্টিকর্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আছে বলে এমন ঘটনা কিছু করতে পারে নাই । আগেও অপরাধীরা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করেছিল। যারা বাংলাদেশকে একটি সা¤প্রদায়িক শক্তিতে পরিণত করেছিল। যারা বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ব্যহত করার চেষ্টা করছে তারাই গুজব ছড়িয়ে কুমিল্লা, ফেনী ও নোয়াখালীতে অশান্ত করেছে। এসব থেকে আপনারা সাবধান থাকবেন। কোনো গুজবে কান দিবেন না। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে যারা হত্যাকারী সেই ফারুক রশীদরা এবং দেই পাকিস্তানের দোসররা ভেবেছিল যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলে বাংলাদেশ শেষ হয়ে যাবে। আসলে ওরা জানতো না যে বাংলাদেশ মানে বঙ্গবন্ধু আর বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। সে ১৯৭৫ সালের নৃশংস হত্যাকান্ডে শেখ রাসেলকে যখন ফজরের আযান হচ্ছিল তখন তাকে দুই তলা থেকে এক তলায় নামিয়ে আনছিল তখন সে বলছিল আমি আমার পিতার পরিচয় দেব না, আমি বলব না আমি বঙ্গবন্ধুর ছেলে। তোমরা আমাকে হত্যা করো না। সেদিন সে ঘাতকদের বুক একটুও কাপেনি। সে শিশু রাসেলের বুকে গুলি করে তাকে বেয়োনেট দিয়ে খুচিয়ে হত্যা করেছিল। আল্লাহর রহমতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ক্ষমতয় আসার পর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শেষ করেছে। তিনজন খুনী এখনও পলাতক আছে। আজকে শেখ রাসলের জন্মদিনে আমি দাবী রাখব সে খুনীদের যেন বাংলাদেশে এনে তাদের বিচার কার্যক্রম শেষ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর যুবলীগের সহসভাপতি আমিনুর ইসলাম শাহিন, ইউসুফ মেম্বার, চঞ্চল মাহমুদ, সেলিম, ইকবাল হোসেন, শাহজালাল প্রধান, মজিবুর রহমান, গোলাম শরিফ, আরমান, এবিএম সাইফুল হাসান রিয়েল, স্বপন, মনির, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।