নিজস্ব সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ না করেও নৌকা প্রতীক পায় কেমন করে? তিনি বলেন, দলের ভিতর নানা ধরণের ষড়যন্ত্র চলছে। দলের ভাবমুর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। ইউপি নির্বাচন গুলোতে দেখা যাচ্ছে, যারা কখনো আওয়ামীলীগ করে নাই তাদের কে এখন নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছে। নেত্রী আমাদের বলেছিলো, আমাদের ভাড়াটে লোক দরকার নাই সাধারণ জনগণ আমাদের চাহিদা ও শক্তি। আমরা যারা আওয়ামী লীগের তৃণমূল তাদের কোন লোভ লালসা নেই। আজ বন্দরে আমাদের নেতা কর্মীরা মারধরের শিকার হচ্ছে। প্রশাসনকে বলেও আমরা লাভ হচ্ছি না। আমরা আঘাত করতে পারি, কিন্তু বঙ্গবন্ধু বলে গিয়েছিল। আঘাত কখনো প্রতিঘাত করো না। তোমরা ধৈর্য ধরো, সে অপেক্ষা আমরা থাকবো। সোমবার (১৮ অক্টোবর) বাদ মাগরিব নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়া মীলীগের উদ্যোগে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। তিনি আরো বলেন, ৭৫ এর আগে এক নেতার এক দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ ¯েøাগান প্রবর্তন করা হয়েছিল। তখন সবাই আওয়ামীলীগার ছিল, পরে ৭৫ এ সপরিবারে জাতির জনককে হত্যা করা হয়। আমরা দলের একই দলের। একটি পরিবার আমরা। আমরা একজন অন্যের বিপদে এগিয়ে আসবো। তিনি বলেন, কর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। কর্মীদের দিয়েই আমাদের নেতাদের উত্থান। এমন কাজ করে যেতে হবে যেন আমাদের কাজের মাধ্যমে দল জাতির জনককে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মানুষ মনে রাখে। আমি সকল স্থানে রাস্তাঘাট, মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজ করেছি। কেউ যদি বলে আওয়ামীলীগের অমুক নেতা এ কাজ করেছে সেটাই আমার সার্থকতা। তিনি আরো বলেন, রাজনীতি মানুষের কল্যাণে আর সেই কল্যান করাই আমাদের কাজ। একে অন্যের পাশে থেকে উন্নয়নের যেই ধারা চলছে তা অব্যাহত রাখতে হবে। অনুষ্ঠানে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সস্পাদক এস এম আহসান হাবিবের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন- সহ-সভাপতি সানোয়ার হোসেন ছানু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জি এম আরমান, সাংগঠনিক সস্পাদক জি এম আরাফাত, কোষাধ্যক্ষ কামাল দেওয়ান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, সাবেক ছাত্র নেতা আলী হাসান সজীব, মোশাররফ হোসেন জনি, নুরুন্নাহার সন্ধ্যা প্রমুখ।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।