Logo

পাগলায় স্টিল কারখানায় বিস্ফোরণ গুরুতর অগ্নিদগ্ধ ৫ শ্রমিককে ঢাকায় প্রেরণ

পাগলায় স্টিল কারখানায় বিস্ফোরণ গুরুতর অগ্নিদগ্ধ ৫ শ্রমিককে ঢাকায় প্রেরণ

ফতুল্লা সংবাদদাতা:
ফতুল্লার পাগলায় স্টিল কারখানায় ভাট্টি বিস্ফোরণে পাঁচ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। তাদের শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (২৫ অক্টোবর) বেলা ১২ টার দিকে ফতুল্লা পাগলা একটি রড কারখানায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধ শ্রকিরা হলেন, বিল্লাল হোসেন (২৫), আরিফ (২৭), আব্দুল আলী (২৬), সোহেল (৩৫) ও লিটন (৩৬)। দগ্ধদের সহকর্মী রুবেল ভাÐারি বলেন, তাদের কারখানা ফতুল্লা পাগলা রসুলপুরে অবস্থিত। সকালে শ্রমিকরা কারখানার ভেতরে ভাট্টিতে লোহা গলানোর কাজ করছিল। হঠাৎ বিকট আওয়াজে ভাট্টি বিস্ফোরণ হয়। এতে গলিত লোহার তরল পদার্থ এই শ্রমিকদের শরীরে পড়লে তারা দগ্ধ হয়। পরে দগ্ধ শ্রমিকদের শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়। দগ্ধ সবাই পাগলা রসুলপুর এলাকাতেই থাকেন। এদিকে কারখানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামা চাপা দেয়ার চেস্টা করায় স্থানীয় থানা পুলিশ ও সাংবাদিকরা বিষয়টি সন্ধ্যায় জানতে পারেন। এরপর ওই কারখানায় শিল্পপুলিশ, থানা পুলিশ ও বেশ কয়জন সাংবাদিক গিয়ে তথ্য চাইলে কারখানার নিরাপত্তাকর্মীরা দুর্ঘটনার বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং কারখানায় পুলিশ ও সাংবাদিক কাউকে প্রবেশ করতে দেয়নি। নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশের এসআই আব্দুর রহমান জানান, তারা প্রথমে স্বীকারই করেনি তাদের কারখানায় দুর্ঘটনা ঘটেছে। পরে গেটের সামনে দীর্ঘ ত্রিশ মিনিট দাঁড়িয়ে থেকে অনেক চেষ্টা করে কারখানার ভিতর প্রবেশ করেছি। কিন্তু নিরাপত্তাকর্মীরা ঘটনাস্থলে না নিয়ে গেটের কাছে একটি রুমে বসিয়ে তাদের ইচ্ছে মত তথ্য দিয়েছে। বিষয়টি দুঃখ জনক।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নারায়ণগঞ্জের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, দুপুরে সিএসআরএম স্টিল কারখানায় রড তৈরির জন্য ফার্নিশের ভেতর লোহা গলানো হচ্ছিল। তবে এ ফার্নিশারের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় গলিত লোহা ছিটকে শ্রমিকদের শরীরে পড়ে। এতে ৫ জন শ্রমিক দগ্ধ হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি আমরা সন্ধ্যায় জানতে পেরে কারখানায় লোক পাঠিয়েছি।
এবিষয়ে কারখানার নিরাপত্তাকর্মী শাহ আলম জানান, ৫জন দগ্ধ হয়েছে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছে। মালিকপক্ষের নির্দেশনা না থাকায় তথ্য দিতে পারিনি। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. আইউব হোসেন বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে দগ্ধ রোগীরা হাসপাতালে এসেছেন। এদের মধ্যে বিল্লাল হোসেন ২০ শতাংশ, আরিফের ১১ শতাংশ, আব্দুল আলী ৫২, সোহেল ১৩ ও লিটনের ১৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের সবার অবস্থা গুরুতর বলেও জানান তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com