বন্দর সংবাদদাতা
বন্দরের কলাগাছিয়া ও মদনপুরে নির্বাচনী সহিংসতায় ৭ জন রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। এ ব্যাপারে আহত হাজী তাউলাদ হোসেন বাদী হয়ে ঘটনার ওই রাতেই প্রতিপক্ষ আমির, রাসেল, সাকিব, আবু তাহের, ইমরান ও শরিফসহ অজ্ঞাত নামা ১০/১৫ জন আসামী করে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আর মাত্র ১০ দিন বাকি। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে বন্দরে বিভিন্ন ইউনিয়নে একের পর এক সহিংসতার ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাতে বন্দরে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সাবদী এলাকায় আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর করার খবর পাওয়া গেছে। একই রাতে মদনপুর ইউনিয়নর কাইনালি ভিটা এলাকায় মেম্বার প্রার্থী আলহাজ¦ হোসাইন তালা প্রতিকের পোস্টার লাগাতে গিয়ে তার কর্মী সমর্থক হাজী তাউলাদ হোসেন (৫৬) দ্বীন ইসলাম (৩২) সাইফুল (২৮) মোফাজ্জল (২৫) ও মোদ্দাচ্ছের (৩২)সহ ৭ জন রক্তাক্ত জখম হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনা বেরে যাওয়ার কারণে সচেতন মহল চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার গভীর রাতে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সাবদী এলাকায় আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর চালায় দূর্বৃত্তরা। এ ব্যাপারে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম ইব্রাহিম কাশেম গনমাধ্যমকে জানান, কলাগাছিয়া ইউনিয়নে নৌকার গণজোয়ার দেখে দেলোয়ার প্রধানের লোকজন নৌকার নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর করেছে। দেলোয়ার শুধু নৌকাকে আঘাত করেনি। সে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আঘাত করেছে। কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি এক প্রতিক্রিয়া গণমাধ্যমকে জানান, কলাগাছিয়া ইউনিয়নে নৌকায় যে জোয়ার উঠেছে এ জোয়ার থামানোর সাধ্য কারো নাই। ক্যাম্প ভাংচুর করে বঙ্গবন্ধু সৈনিকদের থামানো যাবে না। আগামী ১১ তারিখে প্রমাণ হবে। এ ছাড়াও গত শুক্রবার রাতে বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের কাইনালীভিটা এলাকায় মেম্বার প্রার্থী আলহাজ¦ হোসাইন মিয়ার নির্বাচনী পোষ্টার লাগানোর সময় প্রতিপক্ষ হাজী আক্তার হোসেন ফুটবল মার্কার কর্মী সর্মথকরা সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে হাজী তাউলাদ হোসেন (৫৬) দ্বীন ইসলাম (৩২) সাইফুল (২৮) মোফাজ্জল (২৫) ও মোদ্দাচ্ছের (৩২)সহ ৭ জন রক্তাক্ত জখম করে। এ ব্যাপারে আহত হাজী তাউলাদ হোসেন বাদী হয়ে ঘটনার ওই রাতেই প্রতিপক্ষ আমির, রাসেল, সাকিব, আবু তাহের, ইমরান ও শরিফসহ অজ্ঞাত নামা ১০/১৫ জন আসামী করে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ দীপক চন্দ্র সাহা গণমাধ্যমকে জানান, কাইনালী ভিটা এলাকায় মারামারি ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে। কলাগাছিয়া সাবদী এলাকায় নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুরের ঘটনায় আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগে পেলে আমরা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ কাউকে ছাড়া দিবে না।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।