দেশের আলো রিপোর্ট
পাইকপাড়া বড় কবরস্থানের দক্ষিণে অবস্থিত পুকুরের পূর্বপাশ দিয়ে যে সড়কটি দক্ষিণে রণদা প্রসাদ বিশ^বিদ্যালয়ের দিকে চলে গেছে সেই সড়কে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি, ছিনতাই এবং ইভটিজিং হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দিনের বেলা যেমন তেমন সন্ধ্যে হলেই পুকুরের পূর্বপাশে অবস্থিত একটি পরিত্যাক্ত বাড়িতে মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের আড্ডা চলে বলেও অভিযোগ রয়েছে। সড়কটি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ‘নোম্যান্স ল্যান্ড’ হিসেবে পরিচিত। সড়কটির পূর্বে ১৮নং ওয়ার্ড এবং পশ্চিমে ১৭নং ওয়ার্ড অবস্থিত। সরেজমিনে দেখা গেছে, পরিত্যাক্ত বাড়িটিতে একটি ছাদ খোলা নড়বড়ে বিল্ডিং রয়েছে যার পুরোটাই জঙ্গলে ঘেরা। দিনের বেলাও সেখানে যেতে অনেক কসরত করতে হয়। জঙ্গলময় জায়গাটিতে মশা আর বাদুরের বাসা। বাড়িটিতে কেউ থাকেন না। অভিযোগে জানা যায়, মাদকসেবীরা ওই পরিত্যাক্ত বাড়িটিকে নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নিয়েছে। রাতের বেলা ওই রাস্তাটি বেশিরভাগ সময়ই নির্জন থাকে। নির্জনতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ছিনতাইকারীরাও তৎপর হয়ে উঠে। সড়কটি নারায়ণগঞ্জ সদর থানার অধীনে। মাদকব্যবসায়ীরা উঠতি বয়সী তরুণদের মাদক সেবনে আকৃষ্ট করে। প্রথম প্রথম বিনামূল্যে তাদের হাতে মাদক তুলে দেয়া হয়। নেশা জমে উঠলে টাকার বিনিময়ে তাদের কাছে মাদক বিক্রি করে বলে জানা যায়। থানা প্রশাসনকে মাদক বিক্রির কথাটি জানালেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে পরিত্যাক্ত বাড়িটির মালিকপক্ষের সাথে আলাপ হয়। আলাপচারিতায় বীরমুক্তিযোদ্ধা হাসান ভ‚ঁইয়া বলেন, উক্ত সড়কে মাদকব্যবসা ও ইভটিজিং হয় বলে আমরা জানি না কিংবা শুনিওনি। আর বাড়ির ভিতরে দেয়াল ঘেরা জায়গাটি জঙ্গলে পরিপূর্ণ। এখানে কোন আড্ডা হয় বলেও আমাদের জানা নেই।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।