নিজস্ব সংবাদদাতা
হঠাৎ করে কেরোসিন ও ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ১৫টাকা বৃদ্ধি করাতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ বলেছেন, সরকার জনগনের পকেট কাটায় ব্যস্ত। নিত্য পণ্যের দাম জনতার নাগাল ছাড়া ও জ্বালানি তেলের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি করার অভিযোগ করে (৭ নভেম্বর) বিকেলে গণমাধ্যমের কাছে প্রতিক্রিয়ায় মামুন মাহমুদ জানান, দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে জনগণের এমনিতেই নাভিশ্বাস উঠে গেছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। আবার এর মধ্যেই হটাৎ করে ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর প্রভাবে জনগণের যাতায়াত ভাড়া, পণ্যদ্রব্য আনা-নেওয়ার খরচ অনেক বেড়ে যাবে, বৃদ্ধি পাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ, কৃষি উৎপাদন খরচ। ডিজেল এর এই মূল্য বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই পরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্য শুরু হয়েছে। নারায়নগঞ্জের বাস মালিকরা তাদের ইচ্ছেমতো অনৈতিকভাবে ভাড়া বৃদ্ধি করে দিয়েছে। অধ্যাপক মামুন মাহমুদ আরও জানান, এই সরকার কখনোই জনগণের পক্ষে কাজ করে নাই। তারা জনগণের সুবিধা-অসুবিধাকে সবসময়ই উপেক্ষা করেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে তারা কোনো প্রকার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই বরং তারা বর্তমান অস্থির অবস্থায় তেলের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বাড়িয়ে দিয়ে দ্রব্যমূল্যের বা নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে ‘আগুনে ঘি’ ঢেলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। যে সকল মুনাফাখোর সিন্ডিকেট দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে, সরকার তাদের পক্ষ নিয়ে জনগণের পকেট কাটতে ব্যস্ত রয়েছে। জেলা বিএনপির শীর্ষ এই নেতা আরও জানান, যখন আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম অনেক কমে গিয়েছিল, তখন কিন্ত সরকার তেলের দাম কমায় নাই। তারা তখন জনগণের সাথে ব্যবসা করেছে। গত সাত বছরে প্রায় চল্লিশ হাজার কোটি টাকা ব্যবসা করেছে। অথচ এখন তেলের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে, সেই অজুহাতে মুনাফাখোর সরকার অবিবেচকের মত একলাফে ১৫ টাকা বাড়িয়েছে। এটা সম্পূর্ণ অনৈতিক। আমরা অবিলম্বে এই মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহারের দাবি জানাই।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।