নিজস্ব সংবাদদাতা
দ্বিগুণ ভাড়া নিয়ে টানা দু’দিন পরিচালনার পর সমালোচনায় পরে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করেছে মালিকরা। নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালে ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে রোববার (৭ নভেম্বর) এমন ধর্মঘট দেখা গেছে। এতে ৮টি জেলার যাত্রীদের ঘাটে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে কুমিল্লা, চাঁদপুর, শরীয়তপুর, মুন্সিগঞ্জ, মতলবসহ আশপাশের প্রায় ৮টি জেলায় লঞ্চ চলাচল করে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গছে, সকাল থেকে ঘাটে আসা যাত্রীরা ঘাটের মূল ফটক থেকেই ফিরে যাচ্ছেন। মূল ফকট থেকেই বলা হচ্ছে, লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ৪ নভেম্বর থেকে ডিজেল-কেরোসিনের দাম প্রতি লিটার ভোক্তা পর্যায়ে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা পুনর্র্নিধারণ করেছে সরকার। একই দিন থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সড়কে বন্ধন ও উৎসব পরিবহন যাত্রী প্রতি ৩৬ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা নির্ধারণ করে চলাচল করছিল। ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে ৫ নভেম্বর থেকে বাস-ট্রাক-কাভার্ডভ্যান চালানো বন্ধ রেখেছেন মালিকরা। ৬ নভেম্বর পর্যন্ত দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করে নারায়গঞ্জের লঞ্চ টার্মিনাল থেকে যাত্রী পরিবহন করলেও রাতে ধর্মঘট ডাকা হয়। লঞ্চ মালিকদের দাবি, ‘নিয়ম অনুযায়ী, ৩ বছর পর পর ভাড়া বৃদ্ধি করা হবে। কিন্তু ২০১৩ সালের পরে নানা কারণে লঞ্চের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়নি। সম্প্রতি ৬০ ভাগ ভাড়া বৃদ্ধির দাবি করা হয়েছিল। সেই দাবির সাথে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ব্যাপারটি ছিল না। তাই এবার পূর্বের ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির দাবির সাথে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় ১শ’ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির দাবি করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল জানান, তেলের টাকা নেই বলে লঞ্চ চালাতে পারছি না।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।