বন্দর সংবাদদাতা
বাংলাদেশ সরকারের খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ক্ষুধামুক্ত দেশ গড়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ। এ ক্ষুধা নিরুদ্দেশ করতে গেলে আমাদেরকে খাদ্যের মজুদ বাড়াতে হবে। রোববার ১৪ নভেম্বর বেলা ১২টায় বন্দর থানার ২৩নং ওয়ার্ডস্থ বন্দর সিএসডি ক্যাম্পাসে রাইস সাইলো এবং প্রিমিক্স কার্নেল ফ্যাক্টরি নির্মাণ কাজ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে ৫ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিকটন খাদ্য উৎপন্নতায় ৮টি সাইলো রাইস সাইলো নির্মাণ করছেন। তার মধ্যে ৪৮ হাজার ক্ষমতা সম্পন্ন একটি সাইলো নারায়ণগঞ্জে করা হচ্ছে। প্রিমিক্স কার্নেল অর্থাৎ পুষ্টি চাল ৬ প্রকারে ভিটামিন সম্পৃক্ত। এ ভিটামিন বি টুয়েলভ, জিংক, ফলিক এসিড, ইত্যাদীসহ ৬টি গুণ সম্পন্ন ৬টি প্রিমিক্স কার্নেল ফ্যাক্টরী স্থাপন করা হবে। তারেই ভিত্তিপ্রস্তর আমরা দিব। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার মুজিবি ও বাংলাদেশের রজতজয়ন্তী শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি আরো বলেন, আমি গভীর শ্রদ্ধা মনে স্মরণ করছি সর্বকালে সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে। যার জন্ম না হলে বাংলাদেশটি স্বাধীন হত না। আর বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে আমি সাধন মজুমদার মন্ত্রী হয়ে নারায়ণগঞ্জেও আসতে পারতাম না। র্যাবের সিও বলেন, ডিসি বলেন আর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারও বলেন তারও এ জায়গায় আসতে পারত না। এখানে আসত করাচি, না হয় বেলুচি না হয় সিন্ধির লোকজন। তাই আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সেই শ্রদ্ধায় পিতা বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে। আমি শ্রদ্ধভরে স্মরণ করছি মহান মুক্তিযোদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ ২ লাখ মা বোন এবং ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ বঙ্গমাতাসহ শিশু পুত্র রাসেলসহ যে ১৮ জন সদস্যসহ শহীদ হয়েেেছ তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। জাতীয় ৪ নেতা জেলাখানায় শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। কোভিড ১৯ আমাদের নেতৃবৃন্দ ও অপমার জনসাধারণ যারা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং শোকসপ্ত পরিবারে প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ডাক দিয়ে ছিলেন তুমি কে আমি কে বাঙ্গালী বাঙ্গালী। তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা। তোমাদের যা কিছু আছে তা নিয়ে ঝাপিয়ে পর। আমরা অপমার জনসাধারণ তার ডাকে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরেছি। মুক্তিযোদ্ধে যখন গিয়েছি তখন চিন্তাই করি নাই। জীবন নিয়ে ফিরে আসব মায়ের কোলে। যারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে তারা কখনোই চিন্তা করেনি তারা যুদ্ধে কি বাঁচবে না মরবে। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীনতার পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এ দেশকে গড়তে চেয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন আমার জনগণ আসুক। আনন্দ করুক পেট ভরে ভাত খাক। সুন্দর সোনার বাংলা গড়ে উঠুক। এইটা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট যখন তিনি অল্প সময়ে দেশকে পূণর্গঠিত করার চেষ্টা করে একটি পর্যায়ে নিয়ে গেছেন তখনই স্বাধীনতা বিরোধী শত্রæরা দেশে বিদেশে আন্তর্জাতিক শত্রæরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। শুধু জাতির পিতাকে হত্যা করে ক্ষান্ত হয় নাই তাঁর সামনে তাঁর পুত্র সন্তানদের হত্যা করেছে। যেন আওয়ামী লীগ আর যাতে মাথা উচু করে দাঁড়াতে না পারে। আওয়ামী লীগ আর যেন ক্ষমতায় না যায়। বাংলাদেশ যাতে আর বাংলাদেশ না থাকে। বাংলাদেশ যাতে আবারও পাকিস্তানে রূপান্তরিত হয়। এইটা ছিল তাদের উদ্দেশ্যে। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা তাঁরা বিদেশে থাকার কারণে বেঁচে গেছেন। তারা সে চিন্তাই করেনি শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে সে হাল ধরে বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়বে তারা এইটা চিন্তা করেনি। যখন চিন্তা করেছে তখন তাকে হত্যার জন্য বার বার চেষ্টা করা হয়েছে। ২১ বার তাকে হত্যার করা চেষ্টা করা হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা এগিয়ে গেছেন তলা বিহীন ঝুড়ি থেকে। বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল তৈরি করেছেন এবং তৈরি করে যাচ্ছেন। মধ্যম আয়ের দেশ থেকে ৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ গড়বেন এ প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছেন। তারেই ফল সরূপ রাস্তা ঘাট শুধু নির্মাণ নয় ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ মানুষের ক্ষুধামুক্ত দেশ গড়ার জন্য তিনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ। এ ক্ষুধা নিরুদ্দেশ করতে গেলে আমাদেরকে খাদ্যের মজুদ বাড়াতে হবে। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ সভাপতিত্বে ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের এমপি আলহাজ¦ একেএম শামীম ওসমান ও খাদ্য মন্ত্রনালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।