নিজস্ব সংবাদদাতা
নগরীরর বঙ্গবন্ধু সড়কে সাধু পৌলের গির্জার সামনে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে, হকার আহমেদ জোবায়ের (১৮) ছুরিকাঘাত করেছিলো কয়েকজন সংঘবদ্ধ হকার। পরে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতে নিয়ে গেলে চিকৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তারই ধারাবাহিকতায় নিহতের পারিবারসহ বিভিন্ন হকাররা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। বুধবার (১৭ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু সড়কে সাধেু পৌলের গীর্জার সামনে ওই বিক্ষোভ করেন তারা। প্রায় ২ ঘন্টার মতো সড়ক অবরোধ করেন তারা। এ সময় জোবায়ের হত্যার সাথে জরিত সন্দেহে হৃদয় নামে এক যুবককে গণধোলাই দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে নারায়ণগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ এসে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় নিহত জোবায়ের’র মা বলেন, আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে। ৩৪দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও, আমি আমার সন্তানের হত্যার সঠিক বিচার এখনো পাইনি। আমরা পুলিশের কাছে গিয়েছি। তিনি আমাদের বার বার ফিরিয়ে দিচ্ছে। শুধু বলে নির্বাচন শেষ হলে তারা কাজ শুরু করবে। এখন তো নির্বাচন শেষ, এখন তারা কিছু করে না কেন? পুলিশকে সব সময় ফোন দেই তারা আমার ফোন রিসিভ করে না। ধরলেও একই কথা বার বার শুনায়। আমি আমাদের এমপি একেএম শামীম ওসমানের কাছে অনুরোধ করি, তিনি যাতে আমার সন্তান হত্যার সঠিক বিচার আমাকে পাইয়ে দেয়। মাননীয় এমপিই আমাদের শেষ ভরসা। উল্লেখ্য, গত ১৪ অক্টোবর সাধু পৌলের গীর্জার সামনে জোবায়ের ও ইকবাল নামের এক ব্যক্তি পাশাপাশি ব্যবসা করতেন। বিকেলের দিকে বেশি জায়গা নেয়া নিয়ে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে একজন অন্য জনের সাথে হাতাহাতি শুরু করেন। এরপর দুইপক্ষেরই আরও কয়েকজন হাতাহাতির ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাত হন জোয়ায়ের। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।