সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিএসসি, আদমজীনগর, নারায়ণগঞ্জের একটি আভিযানিক দল গত শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন আষাঢ়িয়ারচর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ১০ কেজি গাঁজাসহ ২ জন মাদকব্যবসায়ীকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হলো মোঃ সায়েম (৩০) এবং স্মৃতি আক্তার মিষ্টি (১৯)। এ সময় মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ সায়েম ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানাধীন উড়াহাটি এলাকার তোফাজ্জল হোসেন এর ছেলে এবং অপর আসামী স্মৃতি আক্তার মিষ্টি গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানাধীন সিংড়াতলী এলাকার আবু সাঈদ এর মেয়ে। গ্রেফতারকৃত আসামীরা পরষ্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ চালক ও যাত্রীর ছদ্মবেশে প্রাইভেটকারযোগে বিভিন্ন অভিনব কায়দায় নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য গাঁজার বড় বড় চালান নিয়ে এসে রাজধানী ঢাকা এবং পাশর্^বতী জেলা নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় সরাবরাহ করে আসছিল। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
মদনপুরে আটক ২
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) ৬টা ২৫ মিনিটে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন মদনপুর এলাকা হতে মাদকব্যবসায়ী আমির হোসেন (৩৯), পিতা- মোঃ খোকন, সাং- রাজাবাড়ী পোস্তগোলা, থানা-কদমতলী, জেলা-ঢাকা সুমন বেপারী (৪৩), পিতা-মৃত জলিল বেপারী, সাং-নিলখি বন্দর, থানা-শিবচর, জেলা-মাদারীপুরদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের হেফাজত হতে ফেনসিডিল ১৬ বোতল উদ্ধার এবং মোটরসাইকেল ২টি জব্দ করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, কুমিল্লা হতে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে একটি মোটরসাইকেল করে কতিপয় মাদকব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল নিয়ে আসছে। এ প্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন মদনপুর সাকিনস্থ রাফি ফিলিং স্টেশন এর সামনে মহাসড়কের চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়। চেকপোস্ট করাকালীন একটি মোটরসাইকেল দ্রæত গতিতে আসতে দেখে মোটরসাইকেলটিকে থামানোর জন্য সংকেত দিলে মোটরসাইকেলটি গতি বাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করে এবং র্যাবের চৌকস দলের সহায়তায় তাদেরকে আটক করা হয়। পালানোর কারণ জিজ্ঞেসা করলে সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারায় সন্দেহ পূর্বক তাদেরকে তল্লাশী করা হয় এবং ফেনসিডিল ৭৭ বোতল পাওয়া যায়। প্রাথামিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ পরস্পর যোগসাজশে অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল। মাদকের করাল গ্রাস থেকে যুব সমাজ তথা দেশকে বাঁচাতে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। উপরোক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
লঞ্চঘাটে আটক ৩
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) ৮ টা ১৫ মিনিটে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর মডেল থানাধীন ১নং লঞ্চঘাট এলাকা হতে মাদকব্যবসায়ী মোঃ দেলোয়ার হোসেন (২০), পিতা- মোঃ নুর ইসলাম, সাং-মুন্সিপাড়া, থানা- শিবগঞ্জ, জেলা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মোঃ বেল্লাল হোসেন কালা (২২), পিতা-মোঃ আবুল কালাম, সাং-২নং সদরপুর, থানা-চৌদ্দগ্রাম জেলা-কুমিল্লা মোঃ রাসেল (২২), পিতা-মোঃ শফিক মিয়া, সাং-শুয়ারখিল, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের হেফাজত হতে ফেনসিডিল ২০০ বোতল এবং গাঁজা ৫.৭ কেজি উদ্ধার করা হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর মডেল থানাধীন ১নং লঞ্চঘাট টিকেট কাউন্টারের সামনে পাকা রাস্তার উপর উপস্থিত হলে র্যাবের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে ৩ ব্যক্তি পালানোর চেষ্টা করে। র্যাবের চৌকস দলের সহায়তায় তাদেরকে আটক করা হয় এবং পালানোর কারণ জিজ্ঞাসা করা হয়। সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারায় তাদেরকে তল্লাশী করা হয়। তল্লাশী করে তাদের কাছ থেকে ফেনসিডিল ২০০ বোতল এবং গাঁজা ৫.৭ কেজি পাওয়া যায়। প্রাথামিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা পেশাদার মাদকব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন যাবৎ পরস্পর যোগসাজশে অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল ও গাঁজা দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্রয়-বিক্রয় করে আসছে। মাদকের করাল গ্রাস থেকে যুব সমাজ তথা দেশকে বাঁচাতে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। উপরোক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।