নিজস্ব সংবাদদাতা
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জননী কবি সুফিয়া কামালের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২৮ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির উদ্যোগে সংগঠন কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মহিলা পরিষদ জেলা সভাপতি ল²ী চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে সভায় কবির জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আনজুমান আরা আকসির, সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক রীনা আহমেদ, সংগঠন সম্পাদক প্রীতিকনা দাস ও লিগ্যাল এইড সম্পাদক সাহানারা বেগম। বক্তারা বলেন, ২০ নভেম্বর কবি সুফিয়া কামালের ২২তম প্রয়াণ দিবস। জননী সাহসিকা, মহীয়সী নারী, নারীমুক্তি তথা মানবমুক্তির চেতনায় নারীসমাজকে সচেতন এবং সংগঠিত করার জন্য মহিলা পরিষদের নেতৃত্ব দেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবি সুফিয়া কামাল। তাঁর জন্ম হয়েছিল রক্ষণশীল অভিজাত পরিবারে। নানা বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে তিনি শৈশব থেকেই সংগ্রামী জীবন যাপন করেন। স্বশিক্ষিত হয়ে মানুষের ভালবাসায় সমাজের বাতিঘর হয়ে উঠেছিলেন তিনি। দেশ, রাষ্ট্র, সমাজের সকল সংকট ও ক্রান্তিলগ্নে সুফিয়া কামাল পথ দেখিয়েছেন আলোর মশাল হাতে নিয়ে। রক্ষণশীল পরিবারে জন্ম গ্রহন করেও তিনি উপমহাদেশের অতি প্রাচীন মানবতাধর্মের অনুসারী এবং অসা¤প্রদায়িক চিন্তাচেতনায় আজীবন কাজ করে গেছেন। তিনি ‘৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বাঙালি জাতির আত্মবিকাশের সকল আন্দেলনে-সংগ্রামে সাহসী সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। কবি সুফিয়া কামাল ১৯৬৯-৭০ সালে বাঙালি জাতির আত্মপ্রকাশের কালপর্বে সীমাহীন কর্মপ্রেরণা, কর্মোদ্যোগ ও বহুমাত্রিক প্রচেষ্টার পটভূমিতে শতাব্দীর নারী আন্দোলনের আদর্শ ও ধ্যান ধারনায় স্নাত হয়ে একটি নতুন সংগ্রামের ধারা সৃষ্টি করেন। পরিবারে, সমাজে, রাষ্ট্রে নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি প্রাক্তন ছাত্রনেতা, প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মী, সচেতন গৃহিনীদের নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন মহিলা পরিষদ। সুফিয়া কামাল তার সীমাহীন সংগ্রামের ধারায় অতীত ও বর্তমানের মধ্যে ঐতিহাসিক সেতুবন্ধন তৈরি করে সংগঠনে জন্য আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। নতুন প্রজন্মের মাঝে চিরঞ্জীব সুফিয়া কামাল যুগ যুগ বেঁচে থাকুক।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।