Logo

অসময়ের বৃষ্টি : কৃষকের মাথায় হাত

অসময়ের বৃষ্টি : কৃষকের মাথায় হাত

সোনারগাঁ সংবাদদাতা
খুব স্বপ্ন নিয়েই আলুর বীজ রোপণ করে ছিলেন বক্তবলীর আব্দুল করিম। গত ২ দিনের টানা বৃষ্টিতে খেতে পানি জমে নষ্ট হয়েছে বীজ।সোনারগাঁয়ের আলী গাজীর সরিষা খেতেরও একই অবস্থা। পানি সরাতে না পারায় খেতেই নষ্ট হচ্ছে অপরিপক্ক ফসল।শুধু বক্তাবলী আর সোনারগাঁয়েই নয়, এ অবস্থা নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলার শত শত কৃষকের।নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইসহাক জানান, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় গত ২ দিনের বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আলু, সরিষা আর সবজির জমিতে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ৮০ শতাংশ জমিরই আমন ধান কাটা হয়ে গেছে। এখন বেশির ভাগ জমিই বীজতলা। চলতি মৌসুমে ধানের বীজতলায় তেমন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও আলু, সরিষা আর শাক-সবজি চাষের জমি বৃষ্টির পানিতে অনেক নষ্ট হয়ে গেছে। যদি কিছু রক্ষা করা যায় এই আশায় কৃষকরা রাত-দিন চেষ্টা করছেন জমির পানি নামানোর।কৃষকরা বলেন, ‘অ্যহন আমাদের কোনো উপায় নাই। লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আলুর চাষ শুরু করেছি। বৃষ্টিতে তা ডুবে গেছে। এই বৃষ্টি সব শেষ করে দিছে। কোথায় যামু, কি করমু বুজতেছি না।বৃষ্টি ও ক্ষতিগ্রস্ত জমির ব্যাপারে নারায়গণগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, ‘আলীরটেক, বক্তাবলী, সৈয়দপুরের কিছু এলাকায় আলু ও সবজি চাষ হয়। এসব সবজির কিছু জমি এখনো পানিতে তলিয়ে আছে। পানি আজকের মধ্যে নেমে গেলে ক্ষতি কম হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যার বিষয়ে এ কর্মকর্তা জানান, ‘পুরোপুরি ক্ষতি নির্ধারণ করতে গেলে আরো দুই-তিন দিন সময় লাগবে। আড়াইহাজার উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মাহমুদ হাসান ফারুকী জানান, ‘আড়াইহাজারে বোর ধান কিছুদিন আগেই উঠেছে। আমন ধানের জন্য বীজতলা করা হয়েছে। তবে বীজতলার জন্য জমি গুলো উপরে থাকে, তাই ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে। যেসব জমিতে শাক-সবজি রয়েছে, সেগুলো কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি আরও জানান, ‘ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে মাঠকর্মীরা কাজ করছে। যেহেতু এ এলাকার জমি গুলোতে তেমন ফসল নেই, তাই বেশি ক্ষতি হবে না।তবে রূপগঞ্জ উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্তের পরিমান বেশি হতে পারে জানিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার ফাতেহা নূর জানান,‘রূপগঞ্জে ড্রেনেজ ব্যবস্থা খুবই দুর্বল, যে পরিমান বৃষ্টি হয়েছে, মেশিন দিয়ে সেচ দেওয়ার মতো সুযোগ নেই। তাই জমির পানি নামছে না। এখন মাঠে ফসল না থাকলেও সবই বীজতলা। ক্ষতি বীজতলায় হচ্ছে। কৃষক পানি নামাতে পারছে না। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে সরিষার জমিতে।এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের যথাযথ সহায়তার প্রয়োজন বলে মনে করছেন সবাই। কৃষক পরিবার থেকে দাবি, সরকার যেন তাদের ক্ষতি নিরুপন করে পর্যাপ্ত কৃষি ভুর্তকীর ব্যবস্থা করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com