নিজস্ব সংবাদদাতা
নারায়নগঞ্জে তীব্র শীত অনুভূত হয়নি। তবে ঘূর্নিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে গত তিনদিন যাবৎ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে নারায়নগঞ্জে শীতের দাপট বেড়েছে। তীব্র শীত থেকে রক্ষা পেতে ভিড় বাড়ছে শীতের কাপড়ের দোকানগুলোতে। বিত্তবানরা অভিজাত শপিংমল ও বিপণিবিতানে ছুটলেও নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের অনেকেই ফুটপাতের পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোর দ্বারস্থ হচ্ছেন। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) নগরীর ২নং রেল গেট, চাষাড়া, কালিবাজার, হকার্স মার্কেট সহ নগরীর বিভিন্ন স্থানের ফুটপাত ও মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা গেছে শীতবস্ত্র বেচা-কেনার তীব্র ভিড়। দোকানিরা জানিয়েছেন, ফুটপাত ও মার্কেটগুলোতে সোয়েটার, উলের পোশাক, ট্রাউজার, জ্যাকেট, চাদর, মাফলার, কানটুপিসহ নানা ধরনের শীতবস্ত্র সরবরাহ হয়েছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শীত বস্ত্রের মধ্যে বেশি বেচা-বিক্রি হচ্ছে- ছোট বাচ্চা ও বয়স্কদের কাপড়। মাথার টুপি, পায়ের মোজা, হাত মোজা, মাপলার, জাম্পার, ফুলহাতা গেঞ্জি বিক্রির ফুটপাতের দোকানেই বেশি ভিড়দেখা গেছে। কালিরবাজার পোষ্ট অফিসের সামনে কাপড় বিক্রির দোকানগুলোতেও ভিড়দেখা গেছে। শীত বস্ত্রের দোকানে ক্রেতার ভিড়বেড়েযাওয়ায়সুযোগ বুঝে বিক্রেতারাও অতিরিক্ত দাম নিচ্ছে বলে অভিযোগ করছে ক্রেতারা। ইদ্রিস মিয়া নামে এক ফুটপাতের দোকানি বলেন, এক সপ্তাহ আগেও শীতের কাপড়ের চাহিদা কম ছিল। গত দুইদিন ধরে শীত বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি বেড়েছে। সারা বছর অন্য কাপড় বিক্রি করি। শীত আসলে শুধু শীতের কাপড়ই বিক্রি করি। তবে নিদিষ্ট দাম রেখে শীতবস্ত্র বিক্রি করছে বরৈ জানান তারা। রফিকুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, সামান্য বেতনে চাকরি করি। বড় মার্কেটে গিয়ে শীতের কাপড় কেনার সাধ্য নেই। তাই এই কালিরবাজার পোষ্ট অফিসের সামনে এসে কম দামে পুরাতন কাপড় কিনলাম। আরেক ক্রেতা সুফিয়া বেগম বলেন, কিছুটা ঠান্ডা পড়েছে। বাচ্চাদের জন্য শীতের কাপড় কিনলাম। সাধ্য যেমন সাধও তেমন। তাই ফুটপাত থেকেই কিনেছি। এদিকে, ফুটপাতের পাশাপাশি বিভিন্ন মার্কেটের দোকানগুলোতেও বেশ জমে উঠেছে শীতের কাপড়ের বেচাকেনা।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।