ফতুল্লা সংবাদদাতা
ফতুল্লায় স্বামীর সাথে অভিমান করে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রæয়ারি) ফতুল্লা থানার দাপা ইদ্রাকপুরের পোস্ট অফিস রোড এলাকার সামছুল আলমের ভাড়াটিয়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূর নাম সুমাইয়া আক্তার(১৮)। সে বরগুনা জেলার বেতাগি থানার দক্ষিন বড় মোকামিয়ার মো. শহিদুল ইসলামের মেয়ে। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর ভাই বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে বোনজামাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী ছগির আকন (২৪)কে গ্রেফতার করে পুলিশ। ছগির আকন বরগুনা জেলার বেতাগি থানার কদমতলার হোসনাবাদ গ্রামের ফারুক আকনের ছেলে। মামলা সুত্রে জানা যায়,বিগত ছয় মাস পূর্বে নিহত সুমাইয়া ও ছগির আকনের সাথে পারিবারিক সম্মতিক্রমে গ্রামের বাড়ী বরগুনাতে বিয়ে হয়। তিন মাস পূর্বেছগির আকন তার বোনকে নিয়ে ফতুল্লায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাসের পাশাপাশি স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকুরি করে আসছিলো। মঙ্গলবার দুপুরে ছগির আকন প্রতিবেশী চাচা-চাচীর সাথে ঢাকা জেলার দোহারে অবস্থিত নুরুল্লাহপুর মাজারে যাওয়ায় জন্য তৈরী হয়। এ সময় স্ত্রী সুমাইয়া মাজারে যাওয়ার জন্য বায়না ধরে। কিন্তু স্বামী ছগির আকন তাকে না নিয়ে উল্টো গালমন্দ করে মাজারে চলে যায়। তারা চলে গেলে ঘরের দরজা বন্ধ করে সুমাইয়া ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পুলিশ সংবাদ পেয়ে রাত ১১টায় ঘরের দরজা ভেঙ্গে নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারেছ শিকদার জানায়, আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামী ছগির আকনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।