নিজস্ব সংবাদদাতা
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, আমার খুব শখ ছিলো প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করা। কিন্তু হয়ে ওঠেনি।তিনি ছিলেন এক ট্যারা মহিলা। কি সমস্যা হতো ভালোবাসলে একটু। তবে এটা ভালো, ওর কথা ছিলে যে অভিভাবক যা বলবে তেমনটাই করবো। তো ওদের বাসার সবাইকে আমি পটিয়ে ফেলেছিলাম। আমি এ জেনারেশনের ছেলে-মেয়েদের বলতে চাই, যাই করো, নাটক করো না। আপনি যতটুকু নাটক করবেন ততটুকু নাটকই ফেরত পাবেন। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রæয়ারি) বেসরকারি এক টেলিভিশনের টকশোতে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন তার সহধর্মীনি সালমা ওসমান লিপি। টকশো’র বিষয় ছিলো ‘ভালোবাসর গল্প’। শামীম ওসমান বলেন, আমি প্রেম জিনিসটাকে অনেক পছন্দ করি। তবে আমি একটা জিনিস মেন্টেন করতে চাই, যখন আমি একতরফা ভালোবেসেছি তখনও আমি এটা মেন্টেন করেছি। বিষয়টা হলো, আমরা কিন্তু বাবা মার কাছে বড় হই এবং বাবা মায়ের চেয়ে বেশি ভালোবাসা তো আর কেউ দেয় না। তো হঠাৎ করে আমি একদিন ওনাকে (সালমা ওসমান লিপি) দেখলাম আর দেখা মাত্রই ভালো লেগেছে। এরপর আমার বন্ধু-বান্ধব দেখেছে যে আমার অবস্থা খুবই খারাপ, কেননা ইগনোর হয়ে তো আর অভ্যস্ত না। তখন আমার বন্ধুরা দেখলো যে আমার অবস্থা তো খুব খারাপ, তাই কোথা থেকে যেনো গোলমরিচ নিয়ে আসলো, আর বললো প্রতিদিন ফজরের নামাজের সময় ৭টা করে গোলমরিচ পোড়াতে হবে। এগুলো পোড়ালে ও আমার কাছে দৌড়ে চলে আসবে। তিনি আরও বলেন, ওই সময় অনেক ধর্মঘট হতো। এমনই একদিন আমি মহিলা কলেজ ঢুকলাম, গিয়ে ম্যাডামদের বললাম যে এখন কলেজ বন্ধ রাখতে হবে। তো এমন সময় আমি দেখলাম উনি ও ওনার আর ২-৩জন বান্ধবি আমার দিকে দৌড়ে আসছে। আমি ভাবলাম কাজ বুঝি হয়ে গেছে। তবে তখন ভয়ও পেছিলাম, তাই আমিও দৌড়ে দিয়ে প্রিন্সিপালের রুমে ঢুকে গেলাম। পরে বুঝতে পাররাম যে ওরা আমার দিকে না, ওরা আসলে গেট খোলা পেয়ে বেড়িয়ে যাওয়ার জন্য দৌড়ে আসছিলো। একটি ঘটনার বর্ননা দিয়ে শামীম ওসমান বলেন, আমি একটি আংটি নিয়ে ওকে প্রোপোজ করতে গিয়েছিলাম। তো ওকে যখন আংটিটা দেই ও নেয়ার জন্য না বলে দিলো। আমি করলাম কি আংটিটা ছুরে মারলাম আর আংটিটা গিয়ে ঢুকলো স্যারের আলমারির নিচে। আমি তো চিন্তায় পড়ে গেলাম যে আংটিটি যে এনেছি এটার টাকা তো দেয়া হয়নি, টাকা দিবে কে। পরে ও যখন বের হয়ে গেলো আমি শুয়ে আংটিটি খুজাঁ শুরু করে দিলাম।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।