নিজস্ব সংবাদদাতা
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন জেলা বিএনপির আহŸায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টাএড. তৈমূর আলম খন্দকার। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিয়ে দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন সারাদেশের বিএনপির আরও কয়েকজন নেতা। তবেভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে কয়েকজনকে পুনরায়দলে ফিরিয়ে নিয়েছে বিএনপি। সর্বশেষ ১৩ ফেব্রæয়ারি নোয়াখালী পৌরসভা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জেলার সাবেক কোষাধ্যক্ষ আবু নাসেরকে পুনরায় দলে ফিরিয়ে নিয়েছে বিএনপি। এর আগে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি। এর আগে ১৯ জানুয়ারি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে দলের সাধারণ সদস্য পদসহ দলীয় সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় তৈমূর আলম খন্দকারকে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে অংশ নেয়ার কারণেই তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানা যায়। একই কারণে বহিষ্কার করা হয় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালকে। নির্বাচনের পুরো সময়জুড়েই তৈমূর জানান, দল থেকে স্বতন্ত্র ভাবে প্রার্থীতার বিষয়ে স্পষ্ট কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বরাত দিয়ে তৈমূর বলেন, দল বলেছে কেউ যদি স্বতন্ত্র ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করে সে ক্ষেত্রে দলীয় কোন বাধা নেই। পরবর্তীতে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর কয়েকদিনের মাথায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহŸায়কের পদ থেকে তৈমূর আলমকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এ নিয়ে সেসময় তৈমূর বলেন, দল আমাকে মুক্তি দিয়েছে। এখন আমি রিকশাওয়ালার তৈমূর, রিকশাওয়ালার কাছে ফিরে যাবো। ঠেলাগাড়িওয়ালার তৈমূর, ঠেলাগাড়িওয়ালার কাছে ফিরে যাবো। দলের কারও বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নেই। আমি তাদের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই এবংদলের প্রতি সম্মান রেখে তাদের এই সিদ্ধান্ত আমি মাথা পেতে নেব।
১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনে প্রায় ৯২ হাজার ভোট পান তৈমূর আলম খন্দকার। আমি বিএনপির রাজনীতি করেছি। অন্য কোন দলে আমৃত্যু পর্যন্ত যাবনা। আমি আজীবন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান প্রতিআস্থা রেখে বিএনপির সমর্থক হিসেবে কাজ করে যাবো। দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য আন্দোলন করে যাবো। এদিকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার কারণে বহিষ্কার হওয়া নেতাকর্মীদের ইতিমধ্যে ঘরে ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে বিএনপি। জানা গেছে, দলের হাই কমান্ডের কাছে আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের পুনরায় দলে ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে। তৈমূর আলম খন্দকার ও এটিএম কামাল এখন পর্যন্ত দলের বহিষ্কারাদেশের বিরুদ্ধে হাইকমান্ডের কাছে কোন আবেদন করেননি। তৈমূর ও কামাল আবেদন করবেন কিনা সে বিষয়েও এখন পর্যন্ত স্পষ্ট কোন ইঙ্গিত মেলেনি। তবে তৈমূর আলমের মত জাতীয় পর্যায়ের নেতার পুনরায় দলে ফিরে আসার বিষয়ে আবেদন ছাড়া এখন আর তেমন কোন বাধা থাকছে না বলেই মনে করছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।