সোনারগাঁ সংবাদদাতা
সোনারগাঁয়েমঙ্গলবার (২২ ফেব্রæয়ারি) থেকে মাসব্যাপী লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব শুরু হচ্ছে।শনিবার (১৯ ফেব্রæয়ারি) বিকেলে সোনারগাঁয়ের বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের লাইব্রেরিতে এক সভায় এ তথ্য জানান ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. আহমেদ উল্লাহ। আবহমান গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্য বাংলাদেশ লোক ও কারু শিল্প ফাউন্ডেশন প্রতিবছরই মাসব্যাপী লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব আয়োজন করে। তিনি জানান, মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করবেন উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। সোনারগাঁয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন চত্বরে এ মেলা হবে। ফাউন্ডেশনের লাইব্রেরি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. আহমেদ উল্লাহর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের আহŸায়ক এড. সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, সোনারগাঁ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) গোলাম মুস্তফা মুন্না, সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাইফুল ইসলাম, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সি, ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক রবিউল ইসলাম, সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার, সাংবাদিক হাসান মাহমুদ রিপন, মনিরুজ্জমান মনির, রবিউল হুসাইন, মাজহারুল ইসলাম, ফরিদ হোসেন, কামরুজ্জামান প্রমুখ। এসময় সাংবাদিক, পুলিশ প্রশাসনের নেতৃবৃন্দ, ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা কর্মচারী ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
এবারের কারুশিল্প মেলায়থাকছে যেসব আয়োজন
দেশীয় সংস্কৃতির পুনরুজ্জীবনে আয়োজিত মাসব্যাপী এ লোক কারুশিল্প মেলায় কর্মরত কারুশিল্পী প্রদর্শনী, লোকজ প্রদর্শনী, পুতুল নাচ, বাইস্কোপ, নাগরদোলা, গ্রামীণ খেলাসহ বাহারী পণ্য সামগ্রীর প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মঙ্গলবার (২২ ফেব্রæয়ারি) থেকে শুরু হওয়া মেলা ২৩ মার্চ পর্যন্ত মাসব্যাপী চলবে। ফাউন্ডেশন সূত্র জানান, এবারের মেলায় কর্মরত কারুশিল্পী প্রদর্শনীর ২৪টি স্টলসহ ১০০টি স্টাল বরাদ্ধ করা হয়েছে। গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রথিতদশা ৪৮ জন কারুশিল্পী সক্রিয়ভাবে অংশ নেবে। এবছর সোনারগাঁয়ের দারুশিল্পের কারুকাজ, হাতি ঘোড়া, মমী পুতুলের বর্ণালী-বাহারি পণ্য, জামালপুরের তামা-কাঁসা-পিতলের শৌখিন সামগ্রী, সোনারগাঁয়ের বাহারি জামদানি শিল্প, বগুড়ার লোকজ বাদ্যযন্ত্র, কক্সবাজারের শাঁখা ঝিনুক শিল্প, ঢাকার কাগজের শিল্প, রাজশাহীর মৃৎশিল্প -মাটির চায়ের কাপ, শখের হাঁড়ি, বাটিক শিল্প, খাদিশিল্প, মণিপুরী তাঁতশিল্প, রংপুরের শতরঞ্জি শিল্প, টাঙ্গাইলের বাঁশ-বেতের কারুপণ্য, সিলেটের বেতশিল্প, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সুজনিকাঁথা, কিশোরগঞ্জের টেরা কোটা পুতুল, খাগড়াছড়ি ও মৌলভীবাজারের ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর কারুপণ্য, মৌলভীবাজারের বেতের কারুশিল্প, ঠাকুরগাঁয়ের বাশেঁর কারুশিল্প, মাগুড়া ও ঝিনাইদহের শোলাশিল্প, চট্টগ্রামের তালপাতার হাতপাখা, পাটজাত কারুপণ্য, লোকজ অলংকার শিল্প, নাগরদোলা,বায়স্কোপ ও মিঠাই মন্ডার পসরা থাকবে স্টলগুলোতে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।