Logo
HEL [tta_listen_btn]

ঘরমুখি মানুষের চোখে মুখে আনন্দ……ফাঁকা রাস্তায় স্বস্তিতে ঘরে ফেরা

ঘরমুখি মানুষের চোখে মুখে আনন্দ……ফাঁকা রাস্তায় স্বস্তিতে ঘরে ফেরা

দেশের আলো রিপোর্ট
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীবাহী যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদেরও উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এ কারণে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। তবে যানবাহনের চাপ থাকলেও যান চলাচল রয়েছে স্বাভাবিক। এছাড়া এখন পর্যন্ত যানজটের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ফলে ভোগান্তি ছাড়াই স্বস্তিতে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন ঘরমুখো মানুষ। শনিবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ চিত্র দেখা গেছে। একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারিজানান, ঈদ এলেই সড়কে জ্যাম লেগেই থাকে। তাই জনদুর্ভোগ এড়াতে আমার মেয়ের স্কুল ছুটি হওয়ার পর আমি আমার পরিবারকে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। অফিস থেকে বেতন বোনাস নিয়ে আজ দুপুরে বাড়ি চলে যাচ্ছি। হানিফ পরিবহনের বাস চালকজানান, প্রতি ঈদের টিপে ফ্লাইওভার থেকে নেমে আস্তে আস্তে সাইনবোর্ড এলেই জ্যামে জ্যামে চিটাংরোড আসি। কিন্তু এবার রাস্তা পুরা ফাঁকা। মনে করেন ৩ থেকে ৪ মিনিট লাগছে আমার সাইনবোর্ড থেকে চিটাগাংরোড আসতে। এর আগে ঈদের সময় এইটুকু রাস্তা পার হতে আমার ২০-২৫ মিনিট লাগতো। তাও অনেক সময় যেতে পারতাম না। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মনজুরুল ইসলাম বলেন,শুক্রবার সব কর্মচারীদের বেতন বোনাস দিয়ে ছুটি দিয়েছি। তাই আজ বিকেলে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে পরিবারসহ গ্রামে যাচ্ছি ঈদ করতে। তবে গতবারের তুলনায় মহাসড়কের এবারের অবস্থা তুলনামূলক ভালো। মহাসড়কে কোথাও আগের মত কোনো ভাঙ্গাচোরা না থাকায় আমি পরিবার নিয়ে স্বাচ্ছন্দেই বাড়ি যেতে পারছি। এ ব্যাপারে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নবীর হোসেন বলেন, স্বাভাবিকভাবে এই মহাসড়কে ১৮ হাজার থেকে ২২ হাজার গাড়ি চলাচল করলেওঅফিস আদালত ছুটি হওয়ায় পর থেকেই মহাসড়ক দিয়ে তার চেয়ে বেশি গাড়ি চলাচল করেছে। আজ থেকে গাড়ির চাপ স্বাভাবিকের তুলনায় দ্বিগুন তিনগুন পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি নিরসনে প্রতিটি পয়েন্টে আমাদের পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি হোন্ডা পার্টি, মোবাইল টিম, সাদা পোশাকে পুলিশ থাকবে।
মহাসড়কে ৫২,১২৬ যানবাহন পারাপার
ঈদ যাত্রায় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের অংশ দিয়ে ৫২ হাজার ১২৬টি যানবাহন চলাচল করেছে। শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে শনিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের যানবাহন এ মহাসড়ক যানবাহন চলাচল করেছে। কাঁচপুর হাইওয়ে থানা সূত্রমতে জানা যায়,মহাসড়কে চলাচল করা ৫২ হাজার ১২৬টি যানবাহনের মধ্যে ৫ হাজার ৫৩৬টি প্রাইভেটকার, ৪ হাজার ৫৫২টি মাইক্রোবাস, ১ হাজার ২টি মিনিবাস, ৭৯০টি পিকআপ গাড়ি, ৬৫৪টি মিনি ট্রাক, ৩ হাজার বড় বাস, ৭ হাজার বড় ট্রাক, ১ হাজার ৬৫০টি মিডিয়াম ট্রাকসহ ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের গাড়ি চলাচল করেছে। তবে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে কয়েকদিনের তুলনায় গাড়ির চাপ বাড়লেও মহাসড়কে এখন পর্যন্ত কোনো যানজট সৃষ্টি হয়নি। এতে করে কোনো রকমের ভোগান্তি ছাড়াই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন যাত্রীরা। এছাড়া মহাসড়কের প্রতিটি পয়েন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করার ফলে ঘরমুখো যাত্রীরা স্বস্থিতেই গ্রামে যাচ্ছে।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক ওমর ফারুক বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাড়ির চাপ সবচেয়ে বেশি। আগামী কয়েকদিন গাড়ির চাপ এমনি থাকবে বলে জানান তিনি। গাড়ির চাপ বাড়লেও মহাসড়কে যানজটের আশঙ্কা করছেন না তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com