ফতুল্লা সংবাদদাতা
ফতুল্লায় বাল্কহেড ভাড়া নিয়ে অনত্র বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বাল্কহেডের মালিক বাদি হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জনের নামে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, মামলার বাদি আসাদুজ্জামান শামীম (৫১) তার মালিকানাধীন এমবি মায়ের স্নেহ নামীয় বাল্কহেড (রেজি: নং-১৮৮০৪, দৈর্ঘ্য-৩০.১৮ মিটার, প্রস্থ-৬.৮৬ মিটার ও গভীরতা- ২.২৯ মিটার, ধরণ-বালিবাহী) মাসিক ৫০ হাজার টাকায় ভাড়া দেয় ফতুল্লার পাগলার আনিসুর রহমান মাস্টারের নিকট। উক্ত বাল্কহেডটি ভাড়া নেওয়ার পর থেকে বাদিকে ৫ মাসের মাসিক আড়াই লাখ টাকা পরিশোধ না করে বিভিন্ন প্রকার টালবাহানা ও গরিমষি করে ঘুরাতে থাকে। একপর্যায়ে অভিযুক্ত আনিসুর রহমান মাস্টার প্রতারণামূলক ভাবে বাল্কহেডটি ধর্মগঞ্জ কয়লাঘাটস্থ বাবুলের মালিকানাধীন ভাই ভাই ডকইয়ার্ডে নিয়ে রাখে। পরবর্তীতে আনিসুর রহমান মাস্টার পাগলার এক সহযোগী হারুন মোল্লাকে বাল্কহেডের মালিক বানিয়ে জাল কাগজ পত্র তৈরী করে জৈনক রানা,ডক মালিক বাবুল, আলী হাসান ও রিজিয়া বেগমকে বিক্রিত দলিলের সাক্ষি করে তা অনত্র বিক্রি করে দেয়। মঙ্গলবার (১০ মে) বাদি বিষয়টি জানতে পেরে ডকইয়ার্ডে গেলে রানা জানায়, সে এটা ক্রয় করেছে এবং বাল্কহেডটি সে কেটে টুকরো টুকরো করে অন্যত্র বিক্রি করে দিবে। বাদি এর প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করার ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ইমানুর জানায়, অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেফতারসহ বাল্কহেডটি উদ্ধারে চেষ্টা করছে পুলিশ।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।