বন্দর সংবাদদাতা
বন্দরে বখাটেদের সন্ত্রাসী হামলায় বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর সাত্তার ও আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল হাইসহ ৬ জন আহতের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হলেও এখন পর্যন্ত হামলাকারী ও মাদকসেবী পারভেজ গংকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। বীরমুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী পরিবারেরউপর বখাটেদের সন্ত্রাসী হামলা ঘটনায় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় এলাকাবাসী চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সে সাথে হামলাকারীদের দ্রæত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহার হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা দক্ষিণপাড়া এলাকারমৃত আব্দুল করিম বেপারীর ছেলে বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হাইয়ের সাথে ফরাজিকান্দা উত্তরপাড়া এলাকার মৃত রাইসুল হকের সন্ত্রাসী ছেলে পারভেজ ও তার ছোট ২ ভাই তানভির ও ছাব্বির এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে শত্রæতা চলছিল। বৃহস্পতিবার (১২ মে) সন্ধ্যায় বাদির ভাতিজা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. সাহাদাত হোসেনের স্ত্রী স্বপ্না বেগম তার অসুস্থ ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় বিবাদী সন্ত্রাসী পারভেজ ও তার বখাটে ছোট ভাই তানভির বাদির ভাতিজার স্ত্রীকে রাস্তায় দেখে পূর্ব শত্রæতার জের ধরে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। পরে বিষয়টি ভাতিজার স্ত্রী তার স্বামী উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা সাহাদাত হোসেনকে জানায়। পরে সাহাদাত হোসেন এ ঘটনার প্রতিবাদ করে। এতে উল্লেখিত ২ ভাইসহ একই এলাকার নাসির প্রধানের ছেলে সুমন প্রধান, মৃত আহসান উল্ল্যাহ মিয়ার ছেলে রানা, মুজাহিদ মিয়ার ছেলে রাজিব ও আওলাদ হোসেন মিয়ার ছেলে নাহিদ দেশী অস্ত্রসস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে বাদির বড় ভাই প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল আজিজ এর উপর অর্তকিত হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারীদের কাছ থেকে বাদি বড় ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে বাদি আব্দুল হাই ও সামিউল আরাফাতকে বেদমভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। এছাড়াও শুক্রবার সন্ধ্যায় সন্ত্রাসী পারভেজের নেতৃত্বে একই এলাকারমৃত আহছান উল্ল্যাহ মিয়ার ছেলে কামরুজ্জামান, আতাব উদ্দিন মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন ও একই এলাকার চিহিৃত মাদক স¤্রাট বেøড জনিসহ অজ্ঞাত নামা ১০/১৫ সন্ত্রাসী আবারও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল আজিজ ও তার ছোট ভাই আব্দুল হাইয়ের বাস ভবনে হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারীরা বাড়ি ঘরে ব্যাপক ভাচুর ও লুটপাট করে প্রায় ২ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন করে। হামলাকারীদের বাধা দিতে গিয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল সাত্তার, রতœা বেগম ও আবিদ নামে আরো ৩ জন রক্তাক্ত জখম হয়। এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এ ব্যাপারে আহত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হাই বাদি হয়ে বন্দর থানায় মাদকসেবী পারভেজ, বেøড জনিসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে বন্দরথানায় মামলা দায়ের করে। এ ব্যাপারে বন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মহসিন জানান, অন্যায় করে কেউ পার পবে না। সে যেই হোক। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামীদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।