Logo
HEL [tta_listen_btn]

চলন্ত সিএনজিতে গৃহবধূর শ্লীলতাহানি ফতুল্লা থানায় মামলা গ্রেফতার নেই

চলন্ত সিএনজিতে গৃহবধূর শ্লীলতাহানি ফতুল্লা থানায় মামলা গ্রেফতার নেই

ফতুল্লা সংবাদদাতা
ফতুল্লায় চলন্ত সিএনজিতে গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ পুরান মহাসড়কে। এ ঘটনায় শ্লীলতাহানির শিকার ওই গৃহবধূ বাদি হয়ে মঙ্গলবার (৭ জুন) ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ সালে পারিবারিক সম্মতিক্রমে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার সূর্যপাশা থানার আব্দুর রশিদ খানের পুত্র আরিফ হোসেন খানে (৩৪) এর সাথে বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে অহনা আক্তার সেতু (১২) ও নাতাশা খান (৩) নামক দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বাদি তাদের গ্রামের বাড়িতে বসবাস করতো এবং স্বামী ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানায় মাতুয়াইল এলাকায় বসবাস করে গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলো। মাঝে মাঝে স্বামী গ্রামের বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের নিকট গিয়ে কয়েকদিন অতিবাহিত করে চলে আসতো। দুই বছর পূর্বে বাদির স্বামী ফতুল্লা মডেল থানার উত্তর চাষাঢ়ার সেকান্দার মোল্লার মেয়ে মনি আক্তার (২৪) কে বিয়ে করে সংসার করে আসছে। বিষয়টি নিয়ে বাদির সাথে তার স্বামীর মন মালিন্যের পাশাপাশি রাগ-অভিমান চলে আসছে।
এমতাবস্থায় বাদি তার সতীন মনি আক্তারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে স্বামীকে তালাক প্রদান করার পরামর্শ এবং অনুরোধ করেন। ২৭ মে সকাল ৯টার দিকে অভিযুক্ত মনি আক্তার বাদিকে মোবাইল ফোনে জানায়, বিয়ের কাবিননামার টাকা প্রদান করলে সে বাদির স্বামীকে তালাক দিবে। একইদিন বেলা ১১টার দিকে বাদি তার ছোট মেয়েকে সাথে করে গ্রামের বাড়ি থেকে রওনা দিয়ে অভিযুক্ত মনি আক্তারের কথা মতো সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাইনবোর্ড এলাকায় এসে পৌঁছায়। তখন মনি আক্তার সেখান থেকে চাষাঢ়া যাওয়ার জন্য একটি সিএনজি ভাড়া করে। সিএনজিতে চড়তে গেলে অভিযুক্ত মনি আক্তারের সাথে আসা পাগলার মজনু আহম্মেদের পুত্র মিশাইল আহম্মেদ (৩০) সেই ভাড়া করা সিএনজিতে উঠে। চাষাঢ়া আসার পথে সতীন মনি আক্তারের সহযোগিতায় সিএনজির ভিতরে থাকা মিশাইল আহম্মেদ বাদির শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং সিএনজি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে থাকে। একপর্যায়ে বাদিকে কু-প্রস্তাব দেয়। সিএনজি মহাসড়ক থেকে ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ পুরান সড়কের পাগলা-আলীগঞ্জ এলাকায় গেলে বাদি কৌশলে সিএনজি থেকে ডাক-চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে অভিযুক্ত মিশাইল ও সতীন মনি আক্তার সিএনজি যোগে দ্রæত পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক শাহাদাৎ হোসেন জানায়, মামলা হয়েছে।মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।অভিযুক্তদের গ্রেফতারে একাধিক স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com