Logo
HEL [tta_listen_btn]

কমরেড রফিক খান স্মরণ সভায় নেতৃবৃন্দ গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়ন করতে হবে

কমরেড রফিক খান স্মরণ সভায় নেতৃবৃন্দ গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়ন করতে হবে

নিজস্ব সংবাদদাতা
নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদ কমরেড রফিক খান স্মরণে শুক্রবার (১০ জুন) বিকেল ৪টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ এর উদ্যোগে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক হাফিজুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সভাপতি এড. মন্টু ঘোষ, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি হাফিজুর রহমান, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, বিপ্লবী শ্রমিক সংহতির জেলা নেতা আবু হাসান টিপু, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির জেলা আহŸায়ক অঞ্জন দাস, শহীদুল আলম নান্নু, ইকবাল হোসেন, এইচ রবিউল চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম শরীফ, মাহমুদ কলি হারুণ প্রমুখ। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ শহীদ কমরেড রফিক খানকে স্মরণ করে বলেন, গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়ন করতে হবে।সকল শ্রমিকদের জন্য জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণা করতে হবে। শ্রম আইনের ২৩, ২৬, ২৭, ১৭৯, ১৮০ ধারাসহ সকল অগণতান্ত্রিক ধারা বাতিল করে গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়ন করতে হবে। নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আইএলও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ অনুসারে সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। নারীর প্রতি অশোভন আচরণ, হয়রানী ও সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। নারী পুরুষ নির্বিশেষে সমকাজে সমমজুরি নিশ্চিত করতে হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, আজ রফিক খানের মত বলিষ্ট নেতৃত্ব শ্রমিক আন্দোলনে অত্যন্ত প্রয়োজন। বর্তমান সময়ে শ্রমিকদের অবস্থা খুবই দুর্বিসহ। শাসক ও মালিক শ্রেণী শ্রমিকদের অর্জিত আইনী অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। একের পর এক শ্রমিক স্বার্থবিরোধী কালো আইন তৈরী করছে। কর্মক্ষেত্রে জীবনের নিরাপত্তা নেই। বাঁচার মতো মজুরি নেই। মিথ্যা মামলা ছাঁটাই, নির্যাতন করেই চলেছে। ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নেই। আন্দোলন হলেই সেখানে বর্বরোচিত আক্রমন ও হামলা হচ্ছে। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দেশে একটা স্বৈরশাসন চলছে। মানুষের কোন প্রকার গণতান্ত্রিক অধিকার সরকার রক্ষা করছে না। সরকারের কোন সমালোচনা করলেই তাদেরকে রাষ্ট্রদ্রোহী আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। আইয়ুব খান ও এরশাদের মত একটা স্বেচ্ছাচারিতা চালু করা হয়েছে। শ্রমিকদেরতো কোন গণতান্ত্রিক অধিকার দেওয়া হচ্ছে না। শ্রমিক আন্দোলনে মালিক শ্রেণী ও সরকারের দালাল নেতৃত্বের রমরমা ভাব চলছে। দালাল ও সুবিধাবাদী ট্রেড ইউনিয়নের বিপরীতে সকল বাম ও প্রগতিশীল শ্রমিক সংগঠন সমূহের ঐক্য একান্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে এখন সকল শ্রমিক সংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে মাঠে নামতে হবে, দাবি আদায় করতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com