Logo
HEL [tta_listen_btn]

চাঁদাবাজদের দখলে রাসেল পার্ক সবাই জানে এগুলো কারা করছে: কাউন্সিলর রিয়াদ হাসান

চাঁদাবাজদের দখলে রাসেল পার্ক সবাই জানে এগুলো কারা করছে: কাউন্সিলর রিয়াদ হাসান

নিজস্ব সংবাদদাতা
নগরীর রাসেল পার্কের ফুটপাত চাঁদাবাজরা দখল করে নিয়েছে। দেওভোগ ও বাবুরাইলের কতিপয় চিহ্নিত চাঁদাবাজ নগদ টাকার বিনিময়ে ফুটপাতে হকার বসাতে সহায়তা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক্ষেত্রে তারা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (এনসিসি) মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর নাম বিক্রি করছে বলেও গুরুতর অভিযোগ উঠছে। সরেজমিন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, শহরবাসীর বিনোদনের কথা চিন্তা করে নির্মিত শেখ রাসেল পার্কের চারপাশের হকার ও অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ করছে স্থানীয়রা। স্থানীয়দের মতে, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সঠিক তদারকি না থাকায় পার্কের রাস্তা-ফুটপাত দখল করে ভাড়া দিচ্ছে কতিপয় স্থানীয় পান্ডা। জানা গেছে, স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এসব পান্ডারা ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে ভাড়া দিচ্ছে হকারদের কাছে। ভাড়া নিয়ে ফাস্টফুড, বিভিন্ন পণ্য ও খাদ্যদ্রব্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন হকাররা। এ কারণে পার্কের ফুটপাত দিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারছেন না পথচারীরা। ফলে উদ্বোধনের আগেই সৌন্দর্য হারাতে বসেছে শেখ রাসেল পার্ক। সোমবার (২৭ জুন) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পার্কের চারপাশ হকারদের দখলে। চারুকলা ইন্সটিটিউট এর গেট অর্থাৎ পার্কের প্রধান ফটক থেকে শুরু করে শুক্কুর কারী মসজিদের সামনে, পাক্কারোডের মোড়, ২নং বাবুরাইলের মোড়, ১নং বাবুরাইলের মোড় হয়ে জিমখানায় পুরান মসজিদ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক টং দোকান রয়েছে। আরও দেখা যায়, অবৈধভাবে পার্কের সামনের রাস্তা দখল করে এখানে বার্গার, চিকেন ফ্রাইসহ বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড আইটেমের খাবার, চা, কফি, আইসক্রিম, শাক-সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন হকাররা। ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ পথচারীসহ লেকের পাড়ে হাঁটতে আসা মানুষদের। এদিকে, বেশ কয়েকদিন অনুসন্ধানের পর স্থানীয় কয়েকজনের নাম পাওয়া যায়, যারা মূলত রাসেল পার্কের রাস্তা দখল করে ভাড়ার টাকা নিজেদের পকেটে পুরছে, হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। কেউ কেউ আবার নিজেরাই টং দোকান বসিয়ে ব্যবসা করছে। এদের প্রায় সকলেই সরকারি দলের নাম বিক্রি করে এ রাস্তা দখল করেছে বলেও জানা গেছে।এছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হকার স্থানীয় বেশ কয়েকজনের নাম জানায় যারা পার্কের সামনের অবৈধ এ দোকানগুলো বসিয়েছে। এরা হলেন, রিগেন, মিঠু, শান্ত, রিসাদ, রিয়াদ, পারভেজ, রসুল, রিফাত, ইফাত, সোহেল, তুরাগ, মাসুম, হায়ুল, বাবু, মান্নান, রাজীব, রাসেল, আরিফ, টিটু, পাপুল, কিরণ, অপু, মাশাহার, লিয়ন, হৃদয়, স¤্রাট, দোলন, মিন্টু, জজ, মাসুম, হৃদয় (২), রানা, নজু। অপরদিকে, স্থানীয় মুরুব্বীদের অভিযোগ, যারাই এ রাস্তা দখল করছে সবাই নিজেকে মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর আপনজন হিসেবে পরিচয় দেয়। মূলত মেয়রের নানা বাড়ি এ এলাকায় হওয়ায় নামকা ওয়াস্তের অনেক স্বজন মেয়রের নাম বিক্রি করে এ দোকানপাট বসিয়েছে বলেও জানান তারা। এছাড়াও সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতা ও মহানগর আওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা এক নেতার অনুসারীরাও এতে জড়িত বলে জানান স্থানীয়রা। এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে এনসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আবুল আমিন বলেন, রাসেল পার্ক নিয়ে আমরা ভাবছি। শীঘ্রই উচ্ছেদে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে এনসিসি’র ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রিয়াদ হাসান হকারদের পক্ষ নিয়ে বলেন, এগুলো কারা করছে তা সবাই জানে। এটার মধ্যে তো আর আমাদের হাত নেই কোনো। কারা কারা টাকা খাচ্ছে সেটা পত্রিকায় আসা উচিত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com