ঢাকা অফিস
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, সরকার সাশ্রয়ের স্বার্থে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক ছুটি দু’দিন করা যায় কি না সে বিষয়টা ভেবে দেখছি। আগামী বছর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দু’দিন হবে। সেটাকে আমরা এ বছর থেকেই বাস্তবায়ণ করবো কি না তা ভেবে দেখছি। এ মুহূর্তে কোনো সিদ্ধান্ত বলতে পারছি না। তবে আমরা এটা নিয়ে ভাবছি। শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। শুক্রবার (১২ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক সমিতি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী আরোওবলেন, গবেষণার ফল বলছে, করোনায় আমাদের শিক্ষার্থীদের কোনো ঘাটতি ঘটেনি। বরং এটা সাপে বর হয়েছে। তাদের (শিক্ষার্থীদের) স্ব শিক্ষার দক্ষতা তৈরি হয়েছে। করোনায় তারা নিজেরা শিখতে শিখেছেন। তিনি আরও বলেন, সবাই ড্রপ আউট, ড্রপ আউট করে। আমরা দেখেছি ড্রপ আউট হয়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সক্ষমতার বেশি শিক্ষার্থী ভর্তির প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সক্ষমতা হিসাব না করে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির একটা প্রবণতা আছে। এগুলো বন্ধ করতে হবে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই এই প্রবণতা আছে। ঢাকা শহরের সবচেয়ে নামি প্রতিষ্ঠানে প্রতি শ্রেণিতে শিক্ষার্থী আছে ৬৬ জন তারা সেটি ৭৫ জনে উন্নীত করতে চায়। আমি বলেছি বাড়ানো তো হবেই না বরং কামাতে হবে। আমরা যে ধরনের উন্নয়ন চাই, যে ধরনের উন্নয়নের কথা বলছি, সেটি এভাবে হবে না। একজন শিক্ষক ক্লাসে এতো শিক্ষার্থী কীভাবে পড়াবেন। তার পক্ষে সবাইকে মনোযোগ দেওয়া সম্ভব না। আমরা মান বাড়ানোর চেষ্টা করবো, পরিমাণ বাড়ানোর চেয়ে। মান ঠিক রাখতে হলে, সংখ্যায় বাড়ানোর প্রবণতা রোধ করতে হবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসএসসি পরীক্ষা পেছানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। যদি অনিবার্য কোনো কারণ না ঘটে।সঠিক সিদ্ধান্ত সব সময় জনপ্রিয় হয় না। তারা (সাংবাদিকরা) তো সব সময় জনপ্রিয় সংবাদ খোঁজেন। বিদ্যুৎ ও জ্বালানী নিয়ে সরকার সময়মতো সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজকে যদি কৃচ্ছ্রতা সাধনে না যাই, তাহলে সামনে আমরা বিপদে পড়বো।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।