নিজস্ব সংবাদদাতা
অস্বাভাবিকভাবে দাম বেড়ে যাওয়ায় নারায়ণগঞ্জে ডিমের চাহিদা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। যে ক্রেতা আগে ৫০টি ডিম কিনতেনতিনিএখন ৩০টি করে ডিম ক্রয় করেন। একইভাবে যে মুদি দোকানদার আগে ৩শ’ ডিম বিক্রি করতেন তিনি এখন ১শ’ থেকে ১শ’ ২০টি ডিম বিক্রি করতে পারছেন।
চাহিদা কমায় ডিমের দামও কমতে শুরু করেছে। আগে ১শ’ পিস ডিম ১২শ’ টাকা দরে বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ১১শ’ টাকায়। আগামী কয়েকদিনে সেটা আরও কমে ১ হাজার থেকে ৯শ’ টাকায় নেমে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন ডিম ব্যবসায়ীরা। দাম কমতে থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে ডিম ব্যবসায়ীদের। তারা বলছেন, বেশি দামে ডিম কিনে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। ক্রেতার সংখ্যা অনেক কমে গেছে। এতে লোকসান হচ্ছে তাদের।বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) নারায়ণগঞ্জ শহরের বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। শহরের প্রধান পাইকারি বাজার দিগুবাবুর বাজারের ডিম আড়তদার মো. হাসান বলেন, ডিমের দাম বাড়ার কারণে চাহিদা অনেক কমে গেছে। আগে যে ক্রেতা ১শ’ টি ডিম নিতেন দাম বাড়ার পর থেকে তিনি এখন ৫০টি করে ডিম নিচ্ছেন। আর আগে যে ক্রেতা ৫০টি ডিম নিতেন তিনি এখন ২০টি করে ডিম নিচ্ছেন। হঠাৎ করে দাম বৃদ্ধি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা ও গরম বেড়ে যাওয়ার কারণেই চাহিদার পরিমাণ কমে গেছে বলে মনে করেন এই ব্যবসায়ী। আড়তদার মো. হাসান আরও বলেন, সরকারের ডিম আমদানি করার ঘোষণা দেওয়া ও চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে ডিমের দামও কমতে শুরু করছে। যে কারণে আমরা লোকাল ডিম ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছি। আমাদের এখন লোকসান দিয়ে ডিম বিক্রি করতে হচ্ছে। এই কয়দিনে লাভ করেছেন ডিলার আর খামারিরা। ইকবাল হোসেন নামে আরেক ডিম ব্যবসায়ী বলেন, ডিমের দাম বাড়ার কারণে আগের চেয়ে চাহিদা অনেক কমে গেছে। অস্বাভাবিকভাবে ডিমের দাম বাড়ানো ও গরম বেড়ে যাওয়ার কারণে চাহিদা কমে গেছে। তবে ডিমের দাম বাড়া-কমায় আমাদের কোনো লাভ হয় না। আমরা সব সময় সমান লাভেই ব্যবসা করে থাকি। মুদি দোকানদার মো. জনি বলেন, ডিমের দাম বাড়ার কারণে চাহিদা অনেক কমে গেছে। আগে প্রতিদিন ৩শ’/৩শ’ ৫০টি ডিম বিক্রি করেছি। এখন ১শ’ ১শ’ ৫০টি ডিম বিক্রি করা কষ্ট হয়ে যায়। তিনি বলেন, আমাদের তো ডিমের দাম বাড়লেও যে লাভ কমলেও একই লাভ। দাম বাড়ার কারণে আমার ব্যবসার ক্ষতি হয়ে গেলো। আরেক মুদি দোকানদার জাকির হোসেন বলেন, আমি একটি ছোটখাটো দোকান চালাই। আমার এখানে আগে প্রতিদিন ১শ’ টি ডিম বিক্রি করতে পারতাম। এখন বিক্রি অর্ধেকে নেমেছে। তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে প্রতি ১শ’ টি ডিম ৯শ’ টাকায় নেমে আসতে পারে বলে ধারণা করছেন ভাই ভাই ডিমের আড়তদার লিটন। তিনি বলেন, প্রতি ঈদুল আজহার পর ডিমের দাম কিছুটা বাড়ে। এবার ঈদের পর ডিমের দাম বাড়ে নাই। কিন্তু জ্বালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধির সুযোগে অস্বাভাবিকভাবে ডিমের দাম বেড়ে যায়। তবে এত বাড়ার কথা ছিল না। এখন আবার ডিমের দাম কমতে শুরু করছে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।