রূপগঞ্জ সংবাদদাতা
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেছেন, বন্ধ পাটকলগুলো চালু করাই এখন মূল কাজ। ইজারার ভিত্তিতে মিলগুলো চালু করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ৩ জন লিজগ্রহীতা ৩টি মিল চালু করেছেন। তবে আগ্রহী অনেক লিজগ্রহীতা ইজারার শর্ত সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন। কারণ, মিল চালু করতে হলে তাদের নতুন মেশিন লাগবে। তিনি আরও বলেন, এখানে বড় ইনভেস্টমেন্টের ব্যাপার। এখন লিজ নেওয়ার পর যদি তাদের তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিতে হয়, তাহলে তো তারা নতুন মেশিন আনবে না। সেজন্য আমরা শর্ত সংশোধনের চেষ্টা করছি, যাতে লিজ যারা নেবেন তাদের ক্ষতি হবে না, লাভ হবে। ইজারা নিতে আগ্রহীদের চাহিদাকে বিবেচনায় নিয়ে ইজারার শর্ত সংশোধনের প্রক্রিয়া হাতে নেওয়া হয়েছে। শেষ করতে ১৫ দিনের মতো লাগতে পারে। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগরীর আমিন জুটমিল পরিদর্শন ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এ কথা বলেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পাটমন্ত্রী বলেন, আমরা যখন মিলগুলো বন্ধের ঘোষণা দেই তখন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন খুব তাড়াতাড়ি মিলগুলো আবার চালু হবে। কিসের ভিত্তিতে হবে সেটার একটা ধারণা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছিলেন। তারপর আমরা অনেক জল্পনা-কল্পনার পর পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) ভিত্তিতে মিল চালু করার একটা প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে দেখি, সরকারের সঙ্গে পার্টনার খুঁজে পাওয়া অনেক মুশকিলের ব্যাপার। ৫-৬ বছর লেগে যায়। আমাদের তো একটা মার্কেট আছে, বিদেশি মুদ্রা আয় করি আমরা।
পাটকলের জায়গা অবৈধ দখলে থাকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের মূল কাজ হচ্ছে, আমরা মিলগুলো তাড়াতাড়ি চালু করব। পাটকলের জায়গা, সরকারি জায়গা অনেক দখল হয়ে আছে। সেটার দিকে এখন আমরা নজর দিচ্ছি না। মিলগুলো চালু করাই এখন আমাদের মূল কাজ। মন্ত্রী বলেন, বন্ধ পাটকলগুলোর ৯৮ শতাংশ শ্রমিকের টাকা আমরা দিয়ে দিয়েছি। এখন আন্দোলনের সুযোগ নেই। এই চ্যাপ্টার ক্লোজড। শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে বসে বেতন-ভাতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত দাবি-দাওয়া মেনে নিয়েই তাদের অবসর দিয়েছি। গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ব ২৫টি পাটকল বন্ধ করা হয়েছিল, সবগুলোই লিজের প্রক্রিয়ায় আছে। এর মধ্যে ১০টির মতো মিলের লিজের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। শর্ত সংশোধন হলে লিজ নিতে ইচ্ছুক ব্যবসায়ীরা ব্যাপকভাবে আগ্রহী হবেন। আমিন জুটমিলটিও একেবারের শহরের মাঝখানে। সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে কথা বলবো, তারা যদি বলে মিল থাকতে পারবে না। তখন আমরা অন্য চিন্তা করবো। যদি বলে থাকবে, তখন লিজ দিয়ে এই মিলও চালুর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আমিন জুটমিলের মহাব্যবস্থাপক এএইচএম কামরুল হাসান, ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আলাউদ্দিন পাটোয়ারী, ব্যবস্থাপক (উৎপাদন) মিলজার হোসেন এবং কর্মকর্তা মো. জহির উদ্দীন প্রমুখ।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।