Logo
HEL [tta_listen_btn]

না’গঞ্জে বিএনপি করতে হলে আমাদের লাগবে -এড. তৈমূর

না’গঞ্জে বিএনপি করতে হলে আমাদের লাগবে -এড. তৈমূর

নিজস্ব সংবাদদাতা
বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাবেক উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক আহŸায়ক এড. তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, বিএনপি করতে হলে এই নারায়ণগঞ্জে আমাদের লাগবে। যদি বিএনপির গণজোয়ার আনতে হয় আমাদের লাগবে। আমরাই বিএনপির গণজোয়ার সৃষ্টি করেছি। আমাদের গায়ের রক্ত কি ঝরেনি। আজ তারা বড় বড় কথা বলে যারা ২ কোটি টাকার অভিযোগ এনেছিল, তারা এখন নেতা আর আমরা হয়ে গেছি অবাঞ্ছিত। রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনা এবং জেলা ওলামাদলের সভাপতি শামসুর রহমান বেনু ও পুলিশের গুলিতে নিহত শাওনের রুহের মাগফিরাত কামনা করে আয়োজিত দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাকে যেদিন বহিষ্কার করা হয় সেদিনও বলেছি বিএনপির একচুল বিরোধীতা আমি করব না। আমার মনে কষ্ট রয়েছে। সেটা হল বিএনপি ২০১১ সালে আমাকে নমিনেশন দিয়ে বসিয়ে দিয়েছে। ভাল, তবে এটা আমার আগে আমার বিরোধী প্রার্থী কিভাবে জানে। এবারও আমি বহিষ্কার হবো তা আমার বিরোধী কিভাবে জানে। আমি যতদিন বেঁচে আছি বিএনপির জন্য করে যাবো। তৈমূর আরও বলেন, আমার জীবনে অনেক ভুল আছে। সে ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে বলতে চাই, নির্বাচনে আপনারা আমার জন্য অনেক করেছেন। নির্বাচনের সময় বন্দরে একটা ছেলে আমাক বলে নুরুদ্দিন হাজী ও মুকুল চেয়ারম্যান যেদিন থেকে একসাথে হাটা শুরু করেছে সেদিন থেকে আমাদের বুকটা বড় হয়ে গেছে। নির্বাচনে যাই হোক বিএনপির রূপ পরিবর্তন হয়ে গেছে। একটা কমিটি এসেছে। তাদের উচিত ছিল যারা আন্দোলন সংগ্রাম করে বিএনপিকে টিকিয়ে রেখেছে, ধরে রেখেছে তাদের শরণাপন্ন হওয়া। তার পরিবর্তে আমরা পত্রিকায় দেখলাম ২পরিবারের যুগের পরিসমাপ্তি। আমি প্রশ্ন রাখতে চাই, আমরা তো সকলে পরিবারভুক্ত। বিএনপি নামক গাছটিকে তাজা করতে তারা কি পানি ঢালেনি। তিনি বলেন, আপনারা দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করবেন। আমাদের তিনবারের এমপি কালাম ভাই অসুস্থ, আপনারা তার জন্যেও দোয়া করবেন। বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুল বলেছেন, এ কমিটি লজ্জার ব্যাপার। আজ বন্দরে আমার চেয়ে ছোটরা যদি মহানগরে স্থান পায় এটা অপমানজনক। অনেকে দলের কেউ না হয়েও মহানগরের কমিটিতে স্থান পেয়ে গেছে। কেউ জোর করে পদত্যাগ করেনি। সকলের নিজ ইচ্ছায় পদত্যাগ করেছে। আমাদের দিয়েই এই কমিটি হবে। এসকল নেতাদের দাম দেই না। তারা মুন্সিগঞ্জের লোক হয়ে এখানে রাজনীতি করে। আমরা জনগণের নেতা। সালামকে আমরা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলাম। তিনি বলেন, আপনারা পত্র পত্রিকায় দেখেছেন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন আমি বন্দর থেকে সাজসজ্জাসহ মিছিল নিয়ে আসছিলাম। কিন্তু এই সাখাওয়ার টিপু তারাহুড়ো করে যখন রওনা করল এখানে ষড়যন্ত্র ছিল। তাদের কারণে আমাদের ছেলেরা গুলি খেয়ে মারা যেত। আমরা আসার পর মিছিল হলে পুলিশ কিছু বলার সাহস পেত না। সেখানে হাজার হাজার লোক ছিল। আমাদের নেতারা সেটা বুঝেনি। আমাকে কিছু বলার ক্ষমতা দেয়া হয়নি। আমার হাত পা বাঁধা ছিল। সিলেটে বন্যার জন্য দেড় লাখ টাকা দিয়েছি বন্দর থেকে। শহর থেকে তারা কিছু টাকা তুলে গিয়ে দিয়ে আসে। তাদের ছবি কাট করে তারা টাকা দিয়ে আসল। পরিশ্রম আমাদের রাজনীতি ওদের। টিপু আমার নামে বলে আমি নৌকা মার্কার লোক। আমিতো আওয়ামী লীগের জনসভায় যাইনি। আমি জনপ্রতিনিধি আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান আমাকে সম্মান দিয়েছে। আমরা বলেছিলাম আমরা এমপিদের সাথে যোগাযোগ না করলে কাজ করতে পারতাম না। দেশনেত্রী বলেছিলেন এমপিদের সাথে যোগাযোগ রেখে জনকল্যাণে কাজ করো। তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে সকলে আমার পক্ষে ছিল। দল থেকে না করায় আমি নির্বাচন করিনি। আমার রাস্তায় স্কুল পরে গেছে আমি এমপিকে দিয়ে নতুন স্কুল করিয়েছি। আমি জনগণের জন্য কাজ করেছি। আমি মুকুল তাদের কাছে মাথা বিক্রি করিনি। তিনি আরো বলেন, এটা আওয়ামী লীগের কমিটি দেয়া হয়েছে। বিএনপি এত দুর্বল নয়। নির্বাচনের সময় আমাদের টাকা সেধেছে। আমরা নেইনি কোনদিন মাথা বিক্রি করিনি। আমাদের কেউ কিনে নিতে পারেনি। কেন্দ্র ঠিক থাকলে আমরা অবশ্যই পাশ করতাম। আমরা কেউ ভয় পাইনি। পারলে আমাদের বহিষ্কার করুক। বিএনপি কারা চালায় তখন দেখবো। এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর এড. সাখাওয়াত হোসেন খানকে আহবায়ক ও আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে সদস্য সচিব করে মহানগর বিএনপির ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্র। কমিটি ঘোষণার পরেই শুরু হয় বিদ্রোহ। ইতোমধ্যে কমিটির ১৫ জন নেতা পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, কমিটিতে বাদ দেয়া হয়েছে রাজপথের নেতাদের ও বিএনপির প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধিদের।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com