নিজস্ব সংবাদদাতা
সড়ক উদ্ধারে প্রশাসনের ব্যর্থতা ও দিনের পর দিন সঠিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার অভাবে শহরে যানজট আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অসহনীয় যানজটে শিকার হয়ে চরম ভোগান্তিতে দিন কাটাচ্ছেন শহরবাসী। প্রায় প্রতিদিনই শহরজুড়ে যানজটের এ চিত্র দেখা যায়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও এ ভোগান্তির পরিত্রাণ পাচ্ছেন না শহরবাসী।সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে,শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়ায় সমবায় মার্কেট, মহিলা কলেজ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, বায়তুল আমান ও জিয়া হলের সামনে অবৈধ অটো সিএনজি ও লেগুনা স্ট্যান্ড বহল থাকার ফলে সড়কের প্রায় অর্ধেকটাই দখলে চলে গেছে। পাশাপাশি সড়কে রয়েছে হকারদের চাপ।শহরের নিতাইগঞ্জ এলাকা থেকে চাষাঢ়া পর্যন্ত দিনভর যানবাহনের তীব্র জটলা লক্ষ্যণীয়। এছাড়াও কালীরবাজার, আমলাপাড়া, চাষাঢ়া বালুর মাঠসহ আশপাশের এলাকাগুলোতেও ছিল যানবাহনের লম্বা সারি। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে। তীব্র এই যানজটের ফলে চাকরিজীবী ও শিক্ষার্থীদের পড়তে হয়েছে বিপাকে। ২নং রেলগেট থেকে চাষাঢ়া রিকশায় ৫ মিনিটের দূরত্ব অথচ, এটুকু রাস্তা যেতেই আধা ঘণ্টা থেকে পৌঁনে ১ ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগে। নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজের ছাত্র ইমতিয়াজ জানান, আমার বাসা নিতাইগঞ্জে। যানজটের কারণে ৩০ মিনিট রিকশায় বসে থেকে শেষে হেঁটে এসেছি পরীক্ষা দিতে। কাপড়ের ব্যবসায়ী নিরব জানান, ১ ঘন্টায় শিবু মার্কেট থেকে এখানে আসলাম। এখন ভ্যানগাড়িতে মাল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। ২নং রেলগেট এলাকায় যাবো। একা থাকলে হেঁটে চলে যেতাম, এখন তো যাওয়া সম্ভব না। এদিকে দিনের বেলা অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ কমাতে শহরে ব্যাটারী চালিত রিকশা, মিশুকের প্রবেশ নিষেধ থাকলেও সরেজমিনে চাষাঢ়া, বঙ্গবন্ধু সড়কে এ ধরণের যানবাহন চলতে দেখা গেছে। অন্যদিকে শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়ায় সমবায় মার্কেট, মহিলা কলেজ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, বায়তুল আমান ও জিয়া হলের সামনে অবৈধ অটো সিএনজি ও লেগুনা স্ট্যান্ডের ফলে সড়কের প্রায় অর্ধেকটাই দখলে চলে গেছে। পাশাপাশি সড়কে রয়েছে হকারদের চাপ। সড়ক উদ্ধারে প্রশাসনের ব্যর্থতা ও দিনের পর দিন সঠিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার অভাবে শহরে যানজট আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।