নিজস্ব সংবাদদাতা
বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার কমিটি পুনঃগঠন করা হয়েছে। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়। এসময় কাউসার হামিদকে আহŸায়ক ও আবদুল আল মামুনকে সদস্য সচিব করে ২টি স্থান ফাঁকা রেখে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির বাকি সদস্যরা হলো, যুগ্ম আহŸায়ক মাহমুদ কলি হারুন, যুগ্ম আহŸায়ক এমদাদ হোসেন, যুগ্ম আহŸায়ক জাহাঙ্গীর আলম বাবু, যুগ্ম সদস্য সচিব জাহিদ সুজন, সদস্য মেহেদি হাসান উজ্জল, শহীদুল ইসলাম সজল, মো. সাহাবুদ্দীন, অভি হাওলাদার, মো. আসলাম সিকদার, গোলাম মোস্তফা, শুভ দেব। কমিটি গঠনকালে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও জেলা গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক অঞ্জন দাস, কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত অর্থ সম্পাদক প্রবীর সাহা ও কেন্দ্রীয় নেতা বাবুল হোসেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের যেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্যের দাম অবিশ্বাস্য গতিতে বেঁড়েছে। জ্বালানী তেল, ঘরভাড়া, পরিবহন খরচসহ সবকিছুর ব্যয় বেড়েছে! তখনও গার্মেন্ট শ্রমিকদের মজুরি ৮ হাজার টাকাই রয়ে গেছে। এই বাস্তবতায় ৮ হাজার টাকায় কিভাবে একটি পরিবার টিকে থাকতে পারে! এই প্রশ্ন যদি গার্মেন্ট মালিক কিংবা রাষ্ট্র পরিচালনাকারীদের করা হয়, এর কোন উত্তর পাওয়া যাবেনা। কারখানায় নিয়মিত কাজ হচ্ছে, মালিকদের প্রফিট বাড়ছে! কিন্তু শ্রমিকদের মজুরি বাড়ছে না! এটা কেমন বিচার! আজ দেশের প্রতিটি শ্রমিক ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়ছে। কারণ সারা মাস কাজ করে সে যে টাকা উপার্জন করে তা দিয়ে মাসের ১৫ দিনও চলে না। আমরা গার্মেন্ট শ্রমিকদের জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করার দাবি করেছি। আমরা মনে করি, বর্তমান বাস্তবতায় ৪ জনের একটি ছোট সংসার চালাতে হলেও এর কম টাকায় কোনভাবে সম্ভব নয়। আমাদের শ্রমিকরা ডুপ্লেক্স বাড়িতে থাকা আর লাখ টাকার গাড়িতে চড়ার আশা করে না। কিন্তু মানসম্মত ভাবে বেঁচে থাকার অধিকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের আছে। আমরা গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি শ্রমিকদের সেই অধিকারটুকু নিশ্চিত করতে চাই। এজন্য প্রয়োজন শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের প্রতিরোধ। নিজেদের প্রাপ্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে শ্রমিকরা অচিরেই ঐক্যবদ্ধ হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।