বন্দর সংবাদদাতা
ভাড়ায় জিপ চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করার আড়ালে করতেন মাদক ব্যবসা। মাদক ব্যবসা থেকে আয় করা টাকা দিয়ে ৮ লাখ টাকায় কিনে নেয় জিপটি। সে জিপ দিয়েই চালিয়ে যান মাদক ব্যবসা। শনিবার (১৫ অক্টোবর) রাতে বন্দর থানা এলাকা থেকে এ ঘটনার মূলহোতা আলী আকবরসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে ১ হাজার ৪শ’ ৬৫ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করেছে র্যাব-৩। অন্য দু’জন হলো, রিপন মিয়া (২৭) ও মো. নুর হোসেন (৩৫)।
রোববার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা জানান র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৩ এর একটি আভিযানিক দল শনিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই ৩ জনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের ব্যবহৃত কাভার্ডভ্যান ও জিপের ভেতর থেকে বস্তার মধ্যে বিশেষ কায়দায় লুকানো ১ হাজার ৪শ’ ৬৫ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের বাজার মূল্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা।
তিনি আরো জানান, আকবর ঢাকায় এসে ৫ বছর ধরে ট্রাকের হেলপার হিসেবে কাজ করেন। সে সময় মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে। প্রথম দিকে তিনি মাদক পরিবহনের কাজ করতেন। তারপর প্রাইভেটকারসহ হালকা যানবাহন চালানো শিখে নিজের কেনা জিপে নিয়মিত মাদকের চালান বহন করতেন। বেশি টাকা উপার্জনের জন্য আলী আকবর নিজের জিপসহ বিভিন্ন গাড়ি ভাড়া নিয়ে মাদক বহনের কাজ শুরু করে। রিপন তার ড্রাইভার হিসেবে কাজ করতেন ও তিনি যাত্রী বেশে কাভার্ডভ্যানের পিছনে অবস্থান নিতেন। যাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাভার্ডভ্যানটি আটকালে কৌশলে চালানের বড় অংশ নিয়ে পালিয়ে যেতে পারেন। চক্রটি ফেনসিডিলের চালান কুমিল্লা জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে সংগ্রহ করে রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, টঙ্গী ও সাভারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিতো। মূলত আলী আকবরের নেতৃত্বেই চক্রটি পরিবহন ব্যবসার আড়ালে প্রতিবার ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক পাচার করতো। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।