রূপগঞ্জ সংবাদদাতা
রূপগঞ্জে চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ জান্নাতুল ফেরদৌস জ্যোতি (২৩) হত্যা মামলার একমাত্র অভিযুক্ত ঘাতক স্বামী মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী ওরফে রাসেলকে (৩২) হত্যাকান্ডের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১ ও র্যাব-৭ এর যৌথ আভিযানিক দল শুক্রবার (৪ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ফেনী জেলার সদর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আব্দুল্লাহ চৌধুরী ওরফে রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত রাসেল চট্টগ্রামের রাউজান থানার পূর্ব গুজারারএকেএম ফরিদ আহম্মেদ চৌধুরীর ছেলে। উল্লেখ্য, আসামী মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী ওরফে রাসেল নিহত জান্নাতুল ফেরদৌস জ্যোতিকে ভালোবেসে ৪-৫ মাস পূর্বে বিয়ে করে সংসার জীবন শুরু করে। তারা রূপগঞ্জ থানার মৈকুলি এলাকায় হাবিবুর রহমানের বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতো। বেশ কিছুদিন যাবৎ তাদের মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলহ সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে আসামী আব্দুল্লাহ চৌধুরী ওরফে রাসেল তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস জ্যোতিকে চট্টগ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় আসামী আব্দুল্লাহ চৌধুরী ওরফে রাসেল বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) দিবাগত রাতে পারিবারিক দ্ব›েদ্বর একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভিকটিম জান্নাতুল ফেরদৌস জ্যোতিকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। এই পাশবিক ও নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনাটি বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম জান্নাতুল ফেরদৌস জ্যোতির মা শারমিন আক্তার ডলি বাদি হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত হত্যাকান্ডের পর হতে এজাহারনামীয় পলাতক প্রধান আসামী মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী ওরফে রাসেল কৌশলে আত্মগোপন করে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১১ এর একটি চৌকস গোয়েন্দা দল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক প্রধান আসামী মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী ওরফে রাসেলকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য গোয়েন্দা অনুসন্ধান শুরু করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী বর্ণিত হত্যাকান্ডের সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে। পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামীকে রূপগঞ্জ থানার অত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।