বন্দর সংবাদদাতা
বন্দরের ৫টি ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের কাউন্সিলকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে প্লাস মাইনাসের খেলা চরম হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীরা। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছে, বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে বিশেষ করে কলাগাছিয়া, মুছাপুর ও বন্দর ইউনিনে আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদসহ সংগঠনটির শীর্ষ পদগুলো বাগিয়ে নিতে উল্লিখিত ইউনিয়নর বেশ কিছু হাইব্রীড নেতা বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে। হাইব্রীড নেতারা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য জেলার শীর্ষ নেতাদের থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায়ে নেতাদের আর্শীবাদ নেওয়ার জন্য তাদের পেছনে কারি কারি টাকা খরচ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও নেতাকর্মীদের অভিযোগ ঐহিত্যবাহী সংগঠনটির নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে জামায়াত ঘেষে নূর জাম্মান বন্দর উপজেলার শীর্ষ নেতাদের আর্শিবাদ নেওয়ার জন্য ব্যাপক লবিং চালিয়ে আসছে। এ ছাড়াও কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কাউন্সিলকে সামনে রেখে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ৩ ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। নাম প্রকাশ না কারা শর্তে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বেশ কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতা জানান, আসন্ন কাউন্সিলকে সামনে রেখে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ৩ ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বৃহত্তম অংশটি বন্দর উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ কাজিম উদ্দিন প্রধানের উপর আস্থা করে তার সমর্থিত সভাপতি প্রার্থী আমিরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক একেএম ইব্রাহিম কাশেমের পাশে রয়েছে। এ ছাড়াও বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ এম.এ রশীদের সমর্থিত সভাপতি প্রার্থী মাঈন উদ্দিন তুষার ও সাধারণ সম্পাদক পদে সোয়েব মোহাম্মদ লিটনের নামও ব্যাপকভাবে শুনা যাচ্ছে। এদিকে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই এর সমর্থিত সভাপতি পদে কুতুব উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ইশতিয়াক আহাম্মেদ জারজিসও পদ বাগিয়ে নেওয়ার জন্য মাঠে রয়েছে। বিশেষ করে এমএ রশিদের সমর্থিত সভাপতি প্রার্থী মাঈন উদ্দিন বিরুদ্ধে মোটা অংকের টাকা বিনিময়ে কাউন্সিলরদের প্রভাবিত করার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়ার বন্দর ইউয়িন সভাপতি পদে বিএনপি জামায়াত ঘেষা নূর জ্জামান সভাপতি পদটি বাগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রচুর টাকা খচর করে আসছে। দলের মধ্যে কিছু সুবিধাবাদী কতিপয় নেতারা বিএনপি জামায়াত ঘেষা নব্য আওয়ামীলীগার নূরজ্জামানকে নেতৃত্বে নিয়ে আশার জন্য প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে আসার অভিযোগ রয়েছে। সে সাথে মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে জনী নামে এক ব্যক্তি প্রচুর টাকা খরচ করে নেতৃত্বে আশার পাঁয়তারা করছে। মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কয়েকজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক ভাবে অন্যান্য ইউনিয়নের তুলনায় অনেক দূর্বল। গত ১৫ বছর ধরে এ ইউনিয়ন থেকে নৌকা প্রার্থী জয়ী হতে পারেনি। তার কারন হলো এখানকার আওয়ামীলীগের নেতারা জাতীয় পাটি মনোনিত চেয়ারম্যানের কথায় উঠে এবং বসে। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জনী জাতীয় পার্টি ঘেষা আওয়ামীলীগার। টাকা জোরে মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদেক পদ অসিন হতে বেশ মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ ব্যাপারে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম ইব্রাহিম কাশে জানান, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিলরদের তালিকা চূড়ান্ত হয়ে গেছে। প্রতিটি ওয়ার্ড ১৯ জন কাউন্সিলর রয়েছে। ৯টি ওয়ার্ডে সর্বমোট কাউন্সিলর হলো ১৭১ জন। কাউন্সিলর ১৫ জন সে সাথে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ৬২ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১২ জন কাউন্সিলর মৃত্যু বরণ করায় ৫০ জন কাউন্সিলরকে চূড়ান্ত করা হয়। আমাদের ইউয়িনের কাউন্সিলদের চূড়ান্ত লিস্ট অচিরেই উপজেলা আওয়ামীলীগের হাইকমান্ডের কাছে প্রেরণ করা হবে। তারা কাউন্সিলের দিন নির্ধারণ করবে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।