Logo
HEL [tta_listen_btn]

জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ

জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাগেরহাটে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম ভুঁইয়া তানুকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে শহরে কালো পতাকা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল।
রোববার (১৩ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব রহমানের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি প্রেসক্লাবের সামনে শুরু করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চাষাঢ়া শহীদ মিনারের সামনে এসে শেষ হয়।
এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের মুখে একটাই শ্লোগান আমার ভাই মরলো কেনো, প্রশাসন জবাব চাই। এছাড়াও নেতাকর্মীরা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নুরে আলম ভুঁইয়া তানুকে হত্যার বিচারের দাবিতেও বিভিন্ন ¯েøাগান দেন। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব রহমান বলেন, এই সরকার আওয়ামী সন্ত্রাসবাহিনীর হাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নুরে আলম ভুঁইয়া তানু। তারা এরআগে ভোলা ও মুন্সিগঞ্জে এবং নারায়ণগঞ্জে আমাদের ভাই শাওনকেও হত্যা করেছে। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, অবিলম্বে তানুসহ সকল হত্যার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তা নাহলে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা জননেতা তারেক রহমানকে নির্দেশনা মোতাবেক ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল রাজপথে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। কোনো বাধাই স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের ঠেকাতে পারবে না। এই অবৈধ স্বৈরাচারী সরকারকে বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করেই স্বেচ্ছাসেবক দল ঘরে ফিরবে না। বিক্ষোভ মিছিল এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাসেল মাহমুদ, যুগ্ম আহŸায়ক আবুল হোসেন পায়েল, নজরুল ইসলাম, এসকে শাহীন, আহবায়ক সদস্য খায়রুল কবির মুন্না, শাহাদাৎ হোসেন, রুহুল আমিন, হযরত আলী, বাচ্চু, মোক্তার, হানিফ, চুন্নু, রবিউল, রাব্বানী, নাজমুল,আল আমিন, ফাহিম, মিজান, শুক্কুর, শান্ত, রূপগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আলী আহাম্মদ, মিলন, ফারুক, মন্টু, কাওছার, মিজান, মনু, সানি, সবুজ, দেলোয়ার, রোমান, শাকিল, মাসুদ আকন্দ, আওলাদ, বাদশা, সুমন, জসিম, সাজ্জাদ, বিল্লাল, জামান,শফিক, রোকন, মফিজুল, মোক্তার, কাওসার, রমজান, মনসুর, অপু, আল আমিন, মোক্তার, সোনারগাঁও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহŸায়ক মো. শামীম, ফয়সাল ভুইয়া রিপন, কাজী কামাল, ফজলুল হক ভুইয়া, সেলিম প্রমুখ।
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ
বাগেরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম ভূঁইয়া তানু হত্যার প্রতিবাদে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল। রোববার (১৩ নভেম্বর) বিকালে শহরের আলী আহাম্মদ চুনকার পাঠাগারের সামনে তারা এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুল ইসলাম ছক্কুর নেতৃত্বে এ মিছিল ও সভা অনুষ্ঠিত হয়। মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফারুক চৌধুরী বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলায় বাগেরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম ভূঁইয়া তানুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ হত্যার বিচার চাই। সরকার এভাবে একের পর হত্যা করে বিএনপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে চায়। তাই সবার আগে আমাদের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তাকে মুক্ত না করা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল মাঠে আছে এবং থাকবে। সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, বাগেরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম ভূঁইয়া তানুকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে। তাদের সন্ত্রাস আজ কোন পর্যায়ে চলে গেছে। সারাদেশে তারা খুন-গুমের রাজনীতি চালিয়ে বেড়াচ্ছে। শুধু তাই নয়, আজ সারাদেশে বিএনপির যে শান্তিপূর্ণ বিভাগীয় সমাবেশের ডাক দিয়েছে সেখানেও সরকার বাধার সৃষ্টি করছে। এত বাধা ও প্রতিক‚লের মাঝেও বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশগুলো সফল হওয়ায় সরকারের আরও বেশি মাথা খারাপ হয়ে গেছে। আপনারা দেখেছেন ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশেকে কেন্দ্র করে তারা সকল প্রকার পরিবহন অঘোষিত ধর্মঘটের নামে বন্ধ করে দিয়েছে। তবুও তারা সেই সমাবেশে জনস্রোত আটকাতে পারেনি। সেই সমাবেশে যে লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতি ছিলো তা শুধু দেশবাসীই নয়, সারা বিশ^বাসী দেখেছে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের বুকে গুলি ছুড়ছে। কিন্তু বিএনপি নেতাকর্মীরা এ গুলিকে ভয় পায়না। বিনাস্বার্থে এ দেশের গণতন্ত্রের জন্য বিএনপি আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আমরা তানুর মত শহীদ হওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। যতদিন এ অবৈধ সরকারের পতন না হবে, ততদিন আমরা কেউ ঘরে ফিরে যাবো না। আজ আমার ভাই রক্ত দিয়েছে, এ রক্তের হিসাব একদিন আপনাদের দিতে হবে। এ দেশেই আপনাদের বিচার হবে, এ দেশের জনগণই আপনাদের বিচার করবে, ইনশাআল্লাহ্। সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুল ইসলাম ছক্কু বলেন, এ হত্যার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। আমাদের সহকর্মী রাজপথের লড়াকু সৈনিক তানুর জন্য কষ্টে আমরা বুক ফেটে যাচ্ছে। আজ আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমরা আর এ অন্যায় সহ্য করবো না। আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে এ অন্যায় ও জুলুমের প্রতিবাদ করবো।
বক্তব্য শেষে শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মন্ডলপাড়া মহানগর বিএনপির সাবেক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, সহ-সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জনী দেওয়ান, বন ও পুর্নবাসন বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য শাহীনুর ইসলাম সুমন, মো. কামাল, মো. কাইয়ূম, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জাকির হোসেন, যুগ্ম আহŸায়ক জাহাঙ্গীর বেপারী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা শাখার আহŸায়ক কামরুল হাসান শরীফ, বন্দর উপজেলা শাখার আহŸায়ক মো. মনির, সদস্য সচিব মো. জুয়েল, যুগ্ম আহŸায়ক মো. আলতাব হোসেন, বন্দর থানা শাখার আহŸায়ক মো. পাপ্পু প্রমুখ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com