ফতুল্লা সংবাদদাতা
আদালতে ধর্ষণের ডিএনএ রিপোর্ট দাখিল না করে মামলায় আপোষ মিমাংসা করে দিতে আসামীপক্ষের কাছে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেড় লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছে। শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) ফতুল্লা মডেল থানার এসআই গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ এনে আসামীর পরিবারের পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে। এরআগে বুধবার একই অভিযোগ স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিআইজি, পুলিশ হেড কোয়ার্টারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ফতুল্লার কোতালেরবাগ এলাকার মহিউদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া ইউনুছ আলীর ছেলে রিপন (২৩) কে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ২৫ আগস্ট বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তখন রিপন কোন ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত নয় বলে প্রতিবাদ করলেও এসআই গিয়াস উদ্দিন তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে রিপন এখন পর্যন্ত ধর্ষণ মামলায় কারাগারে বন্দি রয়েছে। এর মধ্যে জামিন প্রার্থনা করায় আদালত ধর্ষণের ডিএনএ রিপোর্টসহ জামিন শুনানীর দিন ধার্য করেছেন। তখন মামলার তদন্তকারী অফিসারের কাছে ডিএনএ রিপোর্ট তলব করেছে আদালত। মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই গিয়াস উদ্দিন আদালতের কাছে সময় প্রার্থনা করেও ডিএনএ রিপোর্ট নির্ধারিত সময়ে দাখিল করেনি। এতে ১২ ডিসেম্বর এসআই গিয়াস উদ্দিনের কাছে ডিএনএ রিপোর্টের বিষয় খোঁজ খবর নিতে গেলে আসামীর বাবা ইউনুছকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বলেন, ডিএনএ রিপোর্ট দিয়ে লাভ কি, দেড় লাখ টাকা দাও মিমাংসা করে দেই। তখন লোকজনের সামনে তার কাছ থেকে জোর করে ১০ হাজার টাকা নিয়ে বলেন, এ বিষয়ে কারো সাথে কিছু বললে ছেলের মত তুমিও মামলা খাবে।
অভিযোগকারী ইউনুছ আলী বলেন, আমার ছেলে বিনাদোষে ৪ মাস যাবত জেল খাটছে। পুলিশ একটু আন্তরিক হলে আমার ছেলে মুক্তি পেতো। আমি আমার অভিযোগের তদন্ত চাই। এ বিষয়ে এসআই গিয়াস উদ্দিন বলেন, আসামী পক্ষের অভিযোগ মিথ্যা। তাদের কথা মত ফাইনাল রিপোর্ট দিবোনা বলে জানালে তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। ডিএনএ রিপোর্ট হাতে আসলে আদালতে দাখিল করবো।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।